সুপ্রভাত ডেস্ক »
আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বিস্ফোরণ ঘটে।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স-এর সূত্রে এই খবর জানিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশন এক টুইট বার্তায় এটিকে আত্মঘাতী বোমা হামলা উল্লেখ করেছে।
এদিকে হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে তালেবান সরকারের প্রশাসন। অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ফলাও করে এই খবর প্রকাশ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের খবরে জানিয়েছে, মসজিদে অনেক মুসল্লির রক্তাক্ত লাশ পড়ে রয়েছে।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ টুইট বার্তায় জানান, গোজার-ই-সৈয়দ আবাদ মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে। অনেক মুসল্লি হতাহত হয়েছেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলেও টুইটে উল্লেখ করেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেন, জুমার নামাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, মসজিদটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
বিস্ফোরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কারি সাঈদ খোস্তি। এই মসজিদটিতে অধিকাংশ শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ নামাজ পড়তেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।
হামলার ধরন দেখে তা আইএস এর আফগান শাখা আইএ-খোরাসানের (আইএস-কে) কাজ বলেই আঁচ করা যাচ্ছে। আগস্টে কাবুলের বিমানবন্দরে বড় ধরনের আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল এ গোষ্ঠীটিই। আইএস-কে অতীতে বারবারই শিয়া সংখ্যালঘুদের নিশানা করে হামলা চালিয়েছে। আত্মঘাতী হামলা হয়েছে মসজিদে, স্পোর্টস ক্লাবে এবং স্কুলেও। সম্প্রতি কয়েকসপ্তাহে আইএস তালেবানের বিরুদ্ধেও হামলা জোরদার করেছে। কাবুলে তালেবান নেতাদের একটি শেষকৃত্যানুষ্ঠানে আইএস হামলা চালিয়েছে কিছুদিন আগেই। পূর্বাঞ্চলীয় নানগহর এবং কুনার প্রদেশেও বেশকিছু ছোটখাট হামলা হয়েছে। এই প্রদেশগুলো আগে আইএস এর ঘাঁটি ছিল।
হতাহত শতাধিক
আফগানিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা