সুপ্রভাত ডেস্ক »
হজযাত্রীদের সঙ্গে কোনো প্রতারণা বা হয়রানি করলে এজেন্সিগুলোকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্মেলন ২০২২’ এবং ‘হজ ও ওমরাহ ফেয়ার’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধানের এই সতর্কবাণী আসে। খবর বিডিনিউজের।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘হজযাত্রীদের সঙ্গে কোনো এজেন্সি প্রতারণা বা হয়রানি করলে সে এজেন্সির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী দিনগুলোতেও আল্লাহর ঘরের মেহমানদের যারা হয়রানি করবে, তাদেরকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে।’ হজ কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম বন্ধ করার পাশাপাশি অসদাচরণের অভিযোগের প্রতিকারের জন্য ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, এবং ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা’ করার কথা অনুষ্ঠানে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামীতে যারা হজে যাবেন, তাদের হজের পাশাপাশি সৌদি আরবের সব নিয়ম ও আইন মেনে চলারও আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশকে জঙ্গিবাদের হাত থেকে মুক্ত করে পবিত্র ইসলামের শান্তিময় মহিমাকে জাগ্রত রাখার জন্য আমরা জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স কর্মসূচি গ্রহণ করেছি এবং আলেম ওলামাদেরকে সম্পৃক্ত করে প্রত্যেক এলাকায় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে যাতে কারো ছেলেমেয়ে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত না হয়, তার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
সকলের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, আমরা সকলে ইসলামের মর্মবাণীকে অন্তরে ধারণ করে সমাজ থেকে অন্ধকার, অশিক্ষা, বিভেদ, হানাহানি, সন্ত্রাস, কুসংস্কার ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করি; ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী শক্তিকে প্রতিরোধ করি।’
জাতির পিতা ‘ইসলামের খেদমতে অনেক কাজ করে গেছেন’ মন্তব্য করে তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তার উত্তরসূরি হিসেবে ইসলাম ও জনগণের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তোলা এই ৫৬৪টি মডেল মসজিদে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও গবেষণা কেন্দ্র থাকছে, যাতে ইসলাম ধর্মের ‘মূল কথা’ মানুষ ভালোভাবে জানতে পারে।
তিনি বলেন, ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করে মসজিদের ইমামগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কোরআনের শিক্ষা প্রচারের উদ্দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় লক্ষ লক্ষ শিশুকে কোরআন শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করেছি।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।