মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক টিংকু দাশের অকাল মৃত্যুর সংবাদ আমাদের জন্য ছিল ভীষণ বেদনার। সে বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিল। ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়ে সে পথচলা শুরু করেছিল। বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিএনপির সাংগঠনিক ভীত মজবুত করার জন্য তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। টিংকু দাশ ছিল কর্মীবান্ধব নেতা। মৃত্যুর এক বছর পরও সে আমাদের মাঝে স্বমহিমায় উজ্জল ও অমলিন।
গতকাল শুক্রবার সকালে মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক টিংকু দাশের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টিংকু দাশ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে টিংকু যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে তা বিএনপির নেতাকর্মীদের সবসময় অনুগ্রাণিত করবে। জিয়াউর রহমানের নীতি ও আদর্শে আস্থাশীল হয়ে বিএনপিকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে তিনি যে অবদান রেখেছে নেতাকর্মীরা তা কোনোদিন ভুলবে না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, একজন আদর্শবাদী মানুষ হিসেবে টিংকু দাশ কখনোই নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। সে তার স্বল্পপরিসরের জীবনকালকে দলের কল্যাণে অকাতরে ব্যয় করে গেছে। দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও মহামারীর মধ্যে তার মতো নেতার খুবই প্রয়োজন ছিল। তার কর্মগুণেই সে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, টিংকু দাশ একজন দল অন্তপ্রাণ ব্যক্তি হিসিবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। সে ছিলো একজন সৎ, বিনয়ী ও ভদ্র মানুষ। জিয়াউর আদর্শকে ধারণ করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থাশীল ছিল টিংকু দাশ। তার অকালে চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
টিংকু দাশ স্মতি সংসদের আহ্বায়ক জাবেদ আনাসারীর সভাপতিত্বে ও রাজিব ধর তমালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, যুগ্ম সম্পাদক ইয়ছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর