নিজস্ব প্রতিবেদক »
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় অক্সিজেনের চাহিদাও বেড়েছে বহুগুণ। এতে প্রতিদিন অক্সিজেন সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। অক্সিজেন সংকটে বহু প্রাণ অকালে ঝরছে শুধু। এরই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য খাত অর্থাৎ করোনা চিকিৎসাকেন্দ্রে অক্সিজেন সরবরাহ করছে কেএসআরএম। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অক্সিজেন সিলিন্ডার হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, চট্টগ্রামের বাইরে রাজশাহী, সিলেট, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালেও বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের। বিশেষ করে যেসব হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট থাকবে সেখানে অক্সিজেন পৌঁছে দেবে। কেএসআরএম মূলত অক্সিজেন উৎপাদন করে রড তৈরির কারখানায় ব্যবহারের জন্য। চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলায় তাদের অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে। দুই কম্প্রেসারের ওই প্ল্যান্টের উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি ঘণ্টায় এক হাজার কিউবিক মিটার। কারখানায় ব্যবহারের জন্য এত দিন অক্সিজেন উৎপাদন হলেও সম্প্রতি মেডিক্যাল অক্সিজেনও উৎপাদন করা হচ্ছে। উৎপাদিত ওই অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এ সময় কেএসআরএমের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। শুধুমাত্র জরুরি মুহূর্তের অক্সিজেন না পেয়ে মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। আমরা মনে করি যেকোনো দুর্যোগ সরকারের একার পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়, যদি না বিভিন্ন সেক্টর এগিয়ে আসে। আমরা সেই প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে কারখানার অক্সিজেন তৈরির প্লান্টে মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদন করে তা সরবরাহ করছি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এটি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতারই অংশ। আমরা চায় প্রতিটি প্রাণ বেঁচে থাক, রক্ষা পাক অকাল মৃত্যুর হাত থেকে। কারণ প্রতিটি প্রাণে লুকিয়ে থাকে হাজারো স্বপ্ন।’ চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান কেএসআরএমের মহতি ও জনহিতকর উদ্যোগ। এতে করে অনেক প্রাণ অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে।’ এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএম মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম, ঊর্ধŸতন ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, মেডিক্যাল অফিসার ডা. মেজবাহ উদ্দিন, সহকারী ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিজান উল হক প্রমুখ।