নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগর আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের আলোচনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ইস্যু নিয়ে কয়েকজন সিনিয়র নেতার ওপর ইঙ্গিত ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর কয়েকজন সদস্য। সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা সম্পাদকমণ্ডলীর বক্তব্যের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা যায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মদদদানের অভিযোগে তোপের মুখে পড়েন কয়েকজন সিনিয়র নগর নেতা।
১৬ ডিসেম্বর সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও ৩৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রোটারিয়ান ইলিয়াস বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম ১১ (বন্দর-পতেঙ্গা-ইপিজেড) সংসদীয় আসনে মহানগরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুজন। তখন অন্যান্য উপস্থিত নেতারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রথমে আপত্তি জানান মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীই আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী।
নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সোচ্চার বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, জালাল উদ্দিন ইকবালসহ আরও অনেকে।
ব্যক্তি স্বার্থ ও ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ভুলভাবে নেতাকর্মীদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে মনে করেন সম্পাদকমণ্ডলীর বেশ কয়েকজন সদস্য। । এতে নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তাদের মতে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি যাকে সবচেয়ে বেশি যোগ্য মনে করেছি, তার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছি। আপনারা তার পক্ষে কাজ করবেন। কিন্তু কেউ যদি নিজেকে যোগ্য মনে করেন তাহলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন।’
এর আগে সভার শুরুতে নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু ও খোরশেদ আলম সুজন বক্তব্য দিয়েই সভাস্থল ত্যাগ করেন।
হট্টগোলের মুখে সভায় আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া নেতারা চুপচাপ বসে থাকেন।
অতি সম্প্রতি দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করতে যাওয়া এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় উপস্থিত ছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রাম-১১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এম এ লতিফ। কিন্তু সেখানে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক। তাঁর সমর্থনে বন্দর এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আ জ ম নাছির উদ্দীন তখন একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘দল বলেছে যত বেশি প্রার্থী হবে তত বেশি অংশগ্রহণমূলক হবে। দল কোনো ব্যবস্থাও নেবে না। জিয়াউল হকের সভায় ওয়ার্ড ও থানার পর্যায়ের সব নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের যে এত ক্ষোভ আছে তা না গেলে জানতাম না।’