আনোয়ারা সংবাদদাতা »
আনোয়ারা উপজেলায় হাতির আতংক থেকে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে বৈরাগ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে স্ট্রিটল্যাম্প। কিন্তু বছর যেতে না যেতে এসব স্ট্রিটল্যাম্প অকেজো হয়ে গেছে। দেখা যায়, অনেক স্ট্রিটল্যাম্পে বাতি আছে আলো নেই। আবার কতকগুলোতে সোলার আছে কিন্তু পাওয়ার নেই। ফলে রাতবিবরাতে আগের মতোই হাতির আতংকে দিন কাটাচ্ছে এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ১ নম্বর বৈরাগ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হারুনুর রশিদের বাড়ি, গুয়াপঞ্চক উচ্চবিদ্যালয়, ফজু তালুকদারের বাড়ি, আব্দুল আজিজ ডিসির বাড়িসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো স্ট্রিটল্যাম্পগুলোর কোনোটির আলো নেই, আবার কোনোটির সোলার নেই। আবার কয়েকটিতে লাইটের অস্তিত্বই নেই। এভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে লাইটগুলো।
জানা যায়, গত একদশক থেকে বিভিন্ন জায়গায় থেকে এসে অবস্থান নেওয়া হাতিগুলো দিনে দেয়াং পাহাড়ে থাকলেও রাতে বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক গ্রামে নেমে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর করাসহ প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটায়। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্ট্রিটল্যাম্প স্থাপন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মফজল হোসেন জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল নেমে আমাদের বসতবাড়িতে তা-ব চালায়। অনেক সময় ঘরে আক্রমণ করলে আমরা পালিয়ে যাই। সরকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্ট্রিটল্যাম্প লাগালেও দীর্ঘ সময় ধরে বাতিগুলো নষ্ট হয়ে আছে। এলাকাবাসীরে দাবি, স্ট্রিটল্যাম্পগুলো সংষ্কার করা হোক।
বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী জানান, স্ট্রিটল্যাম্পগুলো সম্ভবত অনেক আগের। আমি আমাদের ইউনিয়ন ওয়ার্ড মেম্বার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি সোলারের মেয়াদ ৩ বছর। মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে সোলার স্ট্রিটল্যাম্পগুলো নষ্ট হয়ে যায়। সোলার স্ট্রিটল্যাম্প মেয়াদোত্তীর্ণ না হলে সংস্কার করা হবে। কোন কোন স্থানে সোলার স্ট্রিটল্যাম্পগুলো নষ্ট হয়েছে সেটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।