গ্রাহকসেবা না বাড়িয়ে পানির দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। সুজনের ফেসবুক পেইজে প্রাপ্ত নোংরা, আয়রন মিশ্রিত দুর্গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহ, গড় বিল, অপর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, গ্রাহক হয়রানি, লাইন আছে পানি নেই এবং আজগুবি বিল সংক্রান্ত গ্রাহকদের শতাধিক অভিযোগ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ’র সাথে তার দফতরে মতবিনিময় করতে গিয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন নতুন পানি শোধনাগার প্রকল্প গ্রহণ এবং এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানও করেছেন। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন থাকাকালীন নগরবাসী মাত্রাতিরিক্ত দুর্ভোগ পোহালেও তাদের মনে অন্তত এটুকু সান্ত¦না ছিল যে কাজ পুরোপুরি শেষ হলে গ্রাহকগণ নিরবচ্ছিন্ন পানি সুবিধা পাবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে তাদের সে আশা গুড়ে বালি। নগরী এলাকার ওয়াসার বেশিরভাগ গ্রাহকই প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে বছরের পর বছর। বিশেষ করে নোংরা, আয়রন মিশ্রিত দুর্গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহ, গড় বিল, অপর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, গ্রাহক হয়রানি, লাইন আছে পানি নেই এবং আজগুবি বিল নিয়েই গ্রাহকের সীমাহীন অভিযোগ। এসব অভিযোগ থাকার পরেও বছরের পর বছর ওয়াসার বিল পরিশোধ করছেন গ্রাহকগণ। তিনি আরও বলেন, অজানা কারণে গ্রাহকদের এসব অভিযোগ নিষ্পত্তির কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে প্রায়ই গ্রাহকদের অভিযোগগুলো সমাধান হয় না। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ আন্তরিকতার সাথে সুজনের বক্তব্য শুনেন। তিনি গ্রাহকদের উত্থাপিত অভিযোগের গুরুত্ব উপলব্দি করে সমস্যাগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণসহ আলোচনা করে সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিক প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম, ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, রুহুল আমিন তপন, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রেজাউল হোসেন দুলাল, খোরশেদ আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি