সুপ্রভাত বাংলাদেশ : শেষ হলো নির্বাচনী প্রচারণা কাল ভোট। নির্বাচনী পরিবেশ কেমন মনে হচ্ছে?
ডা. শাহাদাত হোসেন : পুলিশের অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড এবং সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে উৎকণ্ঠার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে হয়েছে। প্রতিনিয়ত গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে আমাদের শ’খানেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন সুষ্ঠু ভোট নিয়েই আমাদের শঙ্কা কাজ করছে।
সুপ্রভাত : তাহলে কি নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলছেন?
ডা. শাহাদাত : মানুষ ভোট দিতে চায়। ভোট কেন্দ্রে আসতে চায়। কিন্তু তাদেরকে নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে যেতে দেয়া হবে কিনা তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। একইসাথে আমাদের নির্বাচনী এজেন্টরা দায়িত্ব পালন করতে পারবে কিনা তা নিয়েও আতঙ্ক কাজ করছে। এই আতঙ্ক নিয়েই নির্বাচন করতে হচ্ছে।
সুপ্রভাত : ইভিএম নিয়ে কি কোনো শঙ্কা আছে আপনার মনে?
ডা. শাহাদাত : ইভিএম অবশ্যই ভাল দিক। কিন্তু এটি তো ব্যবহার করবে সফটওয়্যার দিয়ে। সেই সফটওয়্যারে যদি ভুল থাকে তাহলে তো এর ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন আমাদের নৈতিকতা। নৈতিকতা ঠিক থাকলে ব্যালট পেপারও ভাল, ইভিএমও ভাল।
সুপ্রভাত : আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর প্রচারণায় বিভিন্ন তারকাদের উপস্থিতি দেখা গেছে। কিন্তু আপনার প্রচারণায় তা দেখা যায়নি?
ডা. শাহাদাত : আমি বিশ্বাস করি নিজের গুনাবলীতে। ভোটও চাইবো নিজের গুনাবলী দিয়ে। ভোটাররা যদি আমার মেধা, গুনাবলী দেখে ভোট দেয় তাতেই আমি সন্তুষ্ট। তবে অপরের দ্বারা নিজের প্রচার করতে চাই না।
সুপ্রভাত : নির্বাচনী ইশতেহারে জলাবদ্ধতার গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু অতীতে কখনো এর সমাধান হয়নি। আপনি কিভাবে তা করবেন?
ডা. শাহাদাত : আমি বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ এনে রূপরেখা তৈরি করবো। তাহলে অবশ্যই এর সমাধান সম্ভব।
সুপ্রভাত : নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করেছেন কেন?
ডা. শাহাদাত : আমি যেহেতু একজন ডাক্তার। তাই পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষের অনেক রোগ হয়। সেজন্য পরিবেশ দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করে চট্টগ্রামকে একটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।