প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প উদ্বোধন করছেন। এসব সফল্যকে আপনি কীভাবে বিবেচনা করেন?
জহিরুল আলম দোভাষ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব উনি নিয়েছেন। আমি মনে করি, উনি যেকথা বলেছিলেন উনি সেকথা রেখেছেন। আপনারা দেখছেন উনি সিডিএর মাধ্যমে চট্টগ্রামের এম এ মান্নান ফ্লাইওভার, আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার, রিং রোড এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতন্নেছা মুজিব সড়ক, জানে আলম দোভাষ সড়ক, মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উনি ওনার কথা রেখেছেন এবং এগুলো ১৪ নভেম্বর উদ্বোধন করবেন।
সার্বিকভাবে সিডিএ-র এসব উন্নয়ন কার্যক্রম সারাদেশে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন?
জহিরুল আলম দোভাষ : সিডিএ-র এসব প্রকল্প বাস্তবাায়িত হলে চট্টগ্রামে যেমন যানজট কমে যাবে তেমনি সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থারও অনেক উন্নয়ন ঘটবে। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেছেন। পাশাপাশি রিং রেড, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতন্নেছা মুজিব সড়ক, জানে আলম দোভাষ সড়ক, মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এবং আমাদের রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের যত জেলা আছে এগুলোর সঙ্গে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে কোনো মালামাল নিয়ে এ রাস্তাগুলো দিয়ে সহজে চলাচল করা যাবে। কোনো যানজট ছাড়া।
উদ্বোধনের পরপরই কি মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে চলাচলের জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে?
জহিরুল আলম দোভাষ : না, উদ্বোধনের পরপরই এটি সবার চলাচলের জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এক্সপ্রেসওয়ের কিছু কাজ এখনো বাকি রয়েছে। টোল প্লাজা স্থাপন, রোড ডিভাইডার বসানো, এক্সপ্রেসওয়েতে লাইটের (আলোর ব্যবস্থা) ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। এসব কাজ পুরোপুরি শেষ হলে আমরা এটি সকলের চলাচলের জন্যে খুলে দেবো।
এসব কাজ শেষ হতে কত সময় লাগতে পারে বলে মনে করেন?
জহিরুল আলম দোভাষ : এতে আরও মাস দুয়েক সময় লাগতে পারে। এরমধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে আশা করছি।