সুপ্রভাত ডেস্ক »
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী ওরফে এস কে সুর চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) তাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
জানা গেছে, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য এস কে সুর চৌধুরীকে দুদক থেকে চিঠি দেওয়া হয়। একাধিকবার তাগিদা দেওয়া হলেও তারা সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেননি।
এদিকে দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন।
নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা দায়ের (নন-সাবমিশন) করা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুল হুসাইন এসব মামলা দায়ের করেন।
দুদক ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলের আলোচিত ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সব ধরনের ব্যাংক হিসাব গত আগস্টে তলব করে। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা রায় চৌধুরী ও মেয়ে নন্দীতা সুর চৌধুরীর হিসাবের তথ্য চেয়ে তা ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা পাঠাতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
ব্যাংকগুলোকে দেওয়া এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী এবং তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এস
কে সুর চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা রায় চৌধুরী ও মেয়ে নন্দীতা সুর চৌধুরীর নামে আপনাদের ব্যাংকের কোনো শাখায় কোনো ধরনের ব্যাংক হিসাব, ঋণ হিসাব, এফডিআর বা সঞ্চয়পত্র থাকলে তা জানাতে বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে হিসাব খোলার ফরম, দাখিলের রেকর্ডপত্র, কেওয়াইসি, নমিনি, টিপি, সিগনেচার কার্ড ও হিসাব বিবরণীসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পাঠাতে বলা হয়।
এস কে সুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন ও সুবিধা নিয়েছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগও রয়েছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির সময় ডেপুটি গভর্নর ছিলেন এস কে সুর চৌধুরী।