সুপ্রভাত ডেস্ক :
শরীর একটু ম্যাজম্যাজ করলেই পার্লারে ছুটে যান অনেকেই। স্পা আর ম্যাসাজে শরীরটা একটু চাঙ্গা করে নেয়া। বিশ্বের অনেক দেশের মতো আমাদের দেশেও এই সুবিধা চালু হয়েছে। তবে ইন্দোনেশিয়া, মালেয়শিয়া স্পার জন্য বিশ্বে নামকরা। ইন্দোনেশিয়ার একটি স্পা আছে যেটি করা হয় অজগর দিয়ে।
একবার ভাবুন তো, বিশাল এক অজগর আপনার শরীর বেয়ে চলেছে। ভাবতেই নিশ্চয় শরীরের রক্ত ঠা-া হবার জোগাড়। তবে না, ভয়ের কিছু নেই। অজগর দিয়ে যেভাবে মাসাজ করানো হয়, তাতে নাকি ভয়ের কিছু নেই। কারণ প্রথমত, মাসাজ শুরুর আগে অজগরকে পেট পুরে খাওয়ানো হয়। পেটে ক্ষিদে না থাকলে অজগর মানুষকে গিলতে যাবে কেন? দ্বিতীয়ত, মাসাজের আগে অজগরের মুখও বন্ধ করে দেয়া হয়, সুতরাং চাইলেও সে কাউকে কামড়াতে বা গিলতে পারে না।
এই ম্যাসাজের রয়েছে অনেক উপকারিতা। গায়ের ওপরে যখন প্রায় তিন মিটার লম্বা আর আট কেজির মতো ওজনের একটা সাপ ছেড়ে দেয়া হয়, ভয় তো লাগেই। সাপের পিচ্ছিল শরীর পিঠে যত নড়াচড়া করে, ততই ভয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে। সেই ভয়ের কারণে অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাতে নাকি শরীরের অনেক উপকার!
প্রথমে সারা শরীরে তেল বা যেখানে মাসাজ করা হবে সেখানে তেল লাগানো হয়। আর তার পরেই শরীরে উপরে একটি সাপ ছেড়ে দেয়া হয়। যে এঁকেবেঁকে ঘুরে বেড়াবে পিঠ থেকে মুখের উপরে। অবশ্য সাপ বাবাজিকে নির্দেশ দেয়ার জন্য স্পায়ের একজন কর্মী উপস্থিত থাকবেন। তিনিই নিয়ন্ত্রণ করবেন সাপের চলাফেরা, দরকার মতো এক বা একাধিক সাপ ছেড়ে দেবেন ক্লায়েন্টের শরীরে!
তবে বিংশ শতাব্দীতে সাপের স্পা জনপ্রিয় হলেও এর চল ছিল প্রাচীন মিশরেও। প্রায় পাঁচ থেকে ১০ হাজার আগেও ছিল এই পদ্ধতি। তবে সবার জন্য নয়। অভিজাতদের জন্য বরাদ্দ ছিল এই অদ্ভুত ম্যাসাজ পদ্ধতি। তবে তখন অবশ্য এমন ঘটা করে ম্যাসাজ করার চল ছিল না। ধারণা করা হয় মিশরের অনেক ফারাও ছিলেন যারা সাপ পুষতে ভালোবাসতেন। সেই সাপগুলো তাদের শরীর সবসময় জড়িয়ে থাকত। এমনকি ঘুমানোর সময়ও সাপ পাশে নিয়েই ঘুমাতেন তারা। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
ফিচার দেউড়ি