মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে একটি ঘরে বন্দি করে রেখেছে। বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গড়ে তুলেছিল, সেই রাষ্ট্রের মালিকানা আজ তাদের হাতে নেই। বর্তমান সরকার রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি গতকাল বুধবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ কার্যালয়ে বিএনপি ঘোষিত আগামী শনিবার গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত আরও বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ তুলে ধরেছে বিএনপি। দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি গণমিছিল সফল করতে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ এখন চেষ্টা করছে, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না সে ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে। এজন্য তারা ইভিএম চালু করেছে। এই ইভিএম তাদের ভোট চুরির আরেকটা বড় হাতিয়ার। কী করে ভোট না পেয়েও নিজেদের নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়, সেজন্য তারা ইভিএম ব্যবহার করছে।
মহানগর বিএনপি সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করছে। কারণ তারা এখন সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা জানে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জিততে পারবে না। তাই তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণ এখন ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়ে গেছে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, দেশ এখন আওয়ামী দুঃশাসনের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকার কেবল বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীর ওপরই জুলম নির্যাতন চালাচ্ছে না, তারা গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরকেও সত্য প্রকাশের কারণে নির্যাতন করছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি