দেশে একটি সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু হবে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী দেশের সব নাগরিকই পেনশনব্যবস্থার আওতায় আসছেন। বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে সরকার এ ব্যাপারে আইন করেছে এবং গত রোববার কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে।
আগামী ১ জুলাই থেকে পেনশনব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। সরকার অবশ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে এ পেনশনব্যবস্থা চালুর কথা ভাবছে। বর্তমানে দেশের ছয় কোটির বেশি কর্মজীবীর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি কাজ করেন বেসরকারি খাতে। যারা পেনশন সুবিধার বাইরে রয়েছেন।
সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হচ্ছে -১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব কর্মক্ষম নাগরিক সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পেনশনধারীরা আজীবন, অর্থাৎ মৃত্যুর আগপর্যন্ত পেনশনসুবিধা ভাগ করবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন এতে। সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা আপাতত সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থার বাইরে থাকবেন। ভবিষ্যতে তাঁদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে নাগরিকেরা পেনশন হিসাব খুলতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে এ পদ্ধতি স্বেচ্ছাধীন থাকবে, তবে পরবর্তী সময়ে বাধ্যতামূলক করা হবে। ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়া সাপেক্ষে মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন নাগরিকেরা। প্রতিটি নাগরিকের জন্য আলাদা পেনশন হিসাব থাকবে, চাকরি পরিবর্তন করলেও অপরিবর্তিত থাকবে এ হিসাব।
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দিন অর্থাৎ আগামী ১ জুলাই থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তার আগে তহবিল, কর্মসূচি ইত্যাদির জন্য বিধিমালা তৈরি করা হবে। সূত্রগুলো জানায়, পরীক্ষামূলক চালু করার আগে কর্তৃপক্ষের একজন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষের জন্য একটি কার্যালয় নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
সবার জন্য পেনশন চালু করার বিষয়টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। এই নতুন উদ্যোগটি চালু হলে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে।
এ মুহূর্তের সংবাদ