নিজস্ব প্রতিবেদক >
বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন আর নেই। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহে——রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি ১ ছেলে, ১ মেয়ে নাতি নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে তিনি গত তিন দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চট্টগ্রামের প্রগতিশীল বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ক্ষেত্রে তার লেখা বইয়ের তথ্যকে দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল।
ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বদরপুর গ্রাম। শহীদ পরিবারের সন্তান ও মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলীর পাঞ্জাবী লেন-এ (বর্তমানে শহীদ লেন)।
তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদ আলী করিম এবং মাতা হুরমোজা বেগমের দ্বিতীয় পুত্র। পিতা রেলওয়ের কর্মকতা হওয়ার সুবাদে তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন পাহাড়তলী রেলওয়ে স্কুলে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কলেজ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও প্রক্টর ছিলেন।
প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন এর মৃত্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।