নিজস্ব প্রতিবেদক »
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ বলেন, ‘বিএনপি খোলা মাঠে জনসভা করতে চায়। তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দিলে হবে না; তাদের নাকি পল্টনে জনসভা করার সুযোগ দিতে হবে। পল্টন ময়দানে কেন তাদের জনসভা করতে হবে? পারলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করে দেখান। তারা কি মনে করেছে- লন্ডনে বসে দেশ চালাবে? লন্ডনে বসে দেশ চালানোর সুযোগ নেই। দেশ সঠিক মানুষের হাতেই আছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেশ নিরাপদ না হলে, কারও হাতে নিরাপদ নয়।’
গতকাল শনিবার দুপুরে নগরের খুলশির অ্যাপোলো-ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যখাতে আওয়ামী লীগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। অনেক বছর এটি বাক্সবন্দি ছিল। পরে ২০০৯ সালে আবার এ সেবা চালু হয়। করোনার সময় টিকার জন্য সরকার বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করেছে। অনেক দেশ যেখানে টিকা পায়নি, সেখানে বিনামূল্যে টিকা পেয়েছে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের অবস্থান কেমন তা জানে। তাই তারা বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আইএমএফ নিয়ে হৈ-চৈ ফেলে দিলো। আইএমএফ তাদের কাজ শেষে বক্তব্য দিয়ে চলে গেছে। এখন তারা নানা বিষয় নিয়ে বিতর্ক তুলছে। অথচ তারা দেশের প্রকৃত খবর রাখেনি । গত ১৪ বছরে দেশে ধাপে ধাপে উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়ন তাদের সহ্য হচ্ছে না।’
অ্যাপোলোর সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন ফ্যাশন হয়ে গেছে, সর্দি-কাশি হলে ডাক্তারের কাছে চলে যাই। সামান্য পেট ব্যথায় আমরা সিঙ্গাপুর চলে যাই। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। তারা যেন ভালো চিকিৎসাসেবা পায়। অ্যাপোলোর সঙ্গে চুক্তি করার ফলে এই হাসপাতালে সেবার মান আরও বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আবুল মোমেন, চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন অতিথিদের স্বাগত জানান। পরে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. প্রতাপ কুমার রেড্ডি ও কো চেয়ারম্যান ডা. প্রীতা রেড্ডি।
দেশে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো প্রসঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মানও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন মানুষ স্বাস্থ্যসেবার জন্যও খরচ করতে চায়। অ্যাপোলোর সঙ্গে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চুক্তি হওয়ায় দেশে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়বে। টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পরিবেশের পাশাপাশি সেবার মানের উন্নয়ন দরকার।’