মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় চিরনিন্দ্রায় শায়িত হলেন সাবেক মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম ১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. আফসারুল আমীন। গতকাল শনিবার বাদে এশা দক্ষিণ কাট্টলীতে তৃতীয় জানাজা শেষে মো. হোসেন চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে দক্ষিণ কাট্টলীর পি এইচ আমীন অ্যাকাডেমি স্কুল প্রাঙ্গণে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এরপূর্বে নগরের জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে দ্বিতীয় জানাজা ও ঢাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অফিস প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ডা. আফছারুল আমীনের মরদেহ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়।
এদিকে গতকাল শনিবার বাদ আসর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজায় হাজার হাজার শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। মহানগর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রয়াত জননেতার মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এসময় শোকার্ত মানুষের উদ্দেশে বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ডা. আফসারুল আমীন মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি এবং সংগঠনের প্রথম সারির নেতা হিসেবে মানুষকে যে সেবা প্রদান করে গেছেন তা স্মৃতিতে সমুজ্জল হয়ে থাকবে। তিনি জীবনে বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে যে স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তা চমকপ্রদ। দলের আদর্শ ও নীতি নৈতিকতার প্রতি আস্থাশীল এ নেতা সকলের কাছে সম্মানিত ও শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।
ডা. মো. আফসারুল আমীনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, ডা. মো. আফসারুল আমীনের ছোটভাই ডা. এরশাদুল আমীন ও ছেলে ফয়সাল আমীন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, একজন মানুষের ভালো-মন্দ দুটো দিকই থাকে। একজন মানুষ হিসেবে কেউই নিজেকে শতভাগ সফল ও সার্থক ভাবতে পারেন না। সবকিছু আল্লাহ তায়ালা একজন মানুষের মূল্যায়ন ও বিচার করবেন। প্রয়াত ডা. আফসারুল আমীন এখন না ফেরার দেশে। তাই তিনি এখন সবকিছুর ঊর্ধ্বে। তিনি যে ভালো কাজ এবং ভালোবাসা জনগণের জন্য রেখে গেছেন তাকে অনুসরণ ও অন্তরে ধারণ করে আমাদের স্মৃতিতে স্মরণে তাকে জাগিয়ে রাখতে হবে।
পরে গরীবুল্লাহ শাহ মাজার মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুহাম্মদ আনিসুজ্জামনের ইমামতিতে নামাজে জানাজায় শরিক হন- ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, হুইপ সামশুল হক এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম এমপি, নোমান আল মাহমুদ এমপি, আশিকুল্লাহ রফিক এমপি, এমএ লতিফ এমপি, দিদারুল আলম এমপি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, আবুল কালাম আজাদ, এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, জসীম উদ্দীন বাবুল, আবদুস সালাম, একেএম বেলায়েত হোসেন, সফর আলী, শেখ মো. ইছহাক, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ।
গত শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডা. আফসারুল আমীন মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। বিজ্ঞপ্তি