চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস. রহমান হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক নেতা আশরাফ উদ্দীন আহম্মেদের নাগরিক শোকসভা গতকাল বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ভুলন লাল ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমরেড নাসির উদ্দীন আহম্মদ নাসু, গণমুক্তি ইউনিয়নের জেলা সমন্বয়ক কমরেড রাজা মিঞা, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা নেতা অপু দাশগুপ্ত, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমী, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা নেতা অ্যাডভোকেট শফিউদ্দিন কবির আবিদ, মুক্তি কাউন্সিলের জেলা নেতা অ্যাডভোকেট আমির আব্বাস তপু, মৃদুল দেব, নাগরিক ঐক্যের চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, অধ্যক্ষ মুছা সিকদার, কমিউনিস্ট পাটি নেতা আহমদ নূর, রুপায়ন বড়–য়া, জামাল উদ্দিন লাল পরিবারের পক্ষে-রায়হান উদ্দিন আহমেদ পাপিয়া।
শোকসংগীত পরিবেশন করেন চারণ সাংস্কৃতিক সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইনচার্জ ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য্য সোমা।
পরিচালনা করেন যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিব যথাক্রমে কমরেড নজরুল ইসলাম ও মো. মামুন।
বক্তারা বলেন, ‘আশরাফ উদ্দীন আহম্মেদ অল্প বয়সে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন। দেশ মাতৃকাকে মুক্ত করার ব্রত নিয়ে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রত্ব ও ছাত্র রাজনীতি শেষে সমাজ বদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়। একই সাথে মানুষ গড়ার ব্রত নিয়ে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হয়ে শিক্ষক আন্দোলনেও অবদান রাখেন। সংস্কৃতি তৎপরতায়ও ছিলেন তিনি সরব। শৈশবে যে আদর্শের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন আমৃত্যু তাতে অবিচল ছিলেন। লোভ-মোহকে উপেক্ষা করে সকল শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।
নৈতিক অবক্ষয়ের এই সময়ে তাঁর মতো দৃঢ়চেতা মানুষেরই আজ বড় প্রয়োজন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও প্রগতিশীল আন্দোলনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তাঁর দীপ্ত ভূমিকা আগামীদিনের সংগ্রামীদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর
 
				 
		

















































