সুপ্রভাত ডেস্ক »
শীতকালে আপনি চাইলেই সহজে ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। যারা ফিটনেস নিয়ে ভাবছেন আর বাড়তি ওজন কমিয়ে হেলদি লাইফস্টাইল মেনটেইন করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্যই আজকের এই ফিচার।
আসুন এবার জেনে নিই কীভাবে এই শীতকালে ওজন কমানো যায়, তার সহজ কিছু উপায় সম্পর্কে-
ডায়েটে ইনক্লুড করুন ফ্রেশ শাক-সবজি: শীতকালে পাওয়া যায় না এমন সবজি কমই আছে আমাদের দেশে। বিভিন্নভাবে সবজি রান্না করে খেতে পারেন- কম তেলে সবজি পাকোড়া, চিকেন দিয়ে সবজি, স্যুপ এগুলো আপনাকে হেলদি ডায়েট মেনটেইন করতে সহায়তা করবে। ওটস সবজি চাপাটি, নিরামিষ তরকারি, সালাদ এই ধরনের খাবার সহজেই পেট ভরিয়ে দেবে। বেশি করে সবজি খেলে বিভিন্ন নিউট্রিয়েন্টস, ভিটামিনস, অ্যান্টি অক্সিডেন্টস, ফাইবার পাচ্ছেন। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতেও এগুলো বেশ হেল্পফুল।
কিছু শাক-সবজি যেমন টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর, শালগম, লেটুস, শসা, মূলা এগুলো সালাদ হিসেবে অথবা হালকা সেদ্ধ করেই খাওয়া যায়। এগুলোতে বিভিন্ন ভিটামিনস, ফাইবার, নিউট্রিয়েন্টস থাকে। এছাড়া লো ক্যালরির হওয়ায় দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ফ্রেশ সিজনাল ফ্রুট জুস আপনার রেগুলার ডায়েট চার্টে রাখুন।
এক্সারসাইজ শুরু করুন: গরমের কারণে যারা হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম না করার বাহানা দিতে থাকেন, শীতকাল তাদের জন্য উপযুক্ত সময়। দীর্ঘক্ষণ ব্যায়ামেও ক্লান্তিভাব কম আসবে। আর এই সিজনে হাঁটতে তো ভালোই লাগে। কাজেই ওজন কমাতে হাঁটাহাঁটি, স্কিপিং, ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করতে এই সময়কে কাজে লাগাতে পারেন।
ডিটক্স ওয়াটার পান করুন: শীতকালে ওজন কমানোর আরেকটি সহজ উপায় জানিয়ে দেই। এই সময় পান করতে পারেন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার, এতে ফ্যাট বার্নিং ক্যাপাসিটি বাড়ার পাশাপাশি বডি মেটাবলিজম ফার্স্ট হবে, বডি ঠিকভাবে ডিটক্সিফাই হবে, সঙ্গে সঙ্গে রক্ত সরবরাহের মাত্রাও ঠিক থাকবে। হালকা কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবু স্লাইস, পুদিনা পাতা, আদার রসের কম্বিনেশন ভালো ডিটক্স হিসেবে কাজ করবে।
স্লিপ সাইকেল ঠিক করুন: সঠিক সময়ে আর পরিমিত ঘুম ওজন কমাতে সাহায্য করে। শীতকালে রাত বড় হওয়ায় আর্লি ঘুমাতে যাওয়া হয়, আর ৭-৮ ঘন্টা ঘুম হয়। ওজন কমানোর জন্য এই স্লিপ সাইকেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাত জাগলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধা লাগে, তখন স্ন্যাকস বা আনহেলদি ফুড খাওয়ার ফলে দ্রুত ওজন বাড়ে। তাই যারা ফিটনেস জার্নি শুরু করতে চাচ্ছেন, তাদের উচিত ঘুমের প্যাটার্ন ঠিক রাখা।
খেয়াল রাখুন কিছু বিষয়: এছাড়া খাওয়ার আগে পানি পান করে নেওয়া, অল্প অল্প করে বার বার খাওয়া, ক্ষুধা লাগলে কম ক্যালরির খাবার- নাটস, পপকর্ন, চিকেন স্যুপ, স্টিমড ভেজিটেবল এগুলো খাওয়া। সুগার, অতিরিক্ত কার্ব এগুলো অ্যাভোয়েড করা, রাতে তাড়াতাড়ি ডিনার করা, হাইড্রেটেড থাকা, খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই ঘুমাতে না যাওয়া- ইত্যাদি আপনাকে সুস্থ থাকতে, ওজন কমাতে সহায়তা করবে।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই। বুঝতেই পারলেন তো, যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন তাদের জন্য শীতকাল উপযুক্ত সময়। ওজন নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য ঘুম, খাবার, ব্যায়াম- এই তিনটি জিনিসে ব্যালেন্স করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।