নুরুল ইসলাম, লোহাগাড়া »
মধুমাস জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু হতেই লোহাগাড়ার হাট-বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে মৌসুমি ফল আম, লিচু ও আনারস। ক্রেতাদের দৃষ্টি আর্কষণের জন্য ফসরা সাজিয়ে বসেছেন ফল বিক্রেতারা। তবে নির্দিষ্ট কোন দোকান নেই এসব বিক্রেতাদের। স্থায়ী দোকানদারদের সামনে ফুটপাথের কিনারায় বসে এসব ফল বিক্রি করা হয়। তবে স্থায়ী দোকানদারদেরকে দিতে হয় নির্দিষ্ট অংকের ভাড়া। আবার হাকডাক দিয়ে গাড়ীর যাত্রীদের নিকটও ফল বিক্রি করে থাকেন অনেকে। ক্রেতারা দরদাম করে কিনে থাকেন মৌসুমি ফল।
বিক্রেতাদের মতে, মৌসুমি ফলের চাহিদাও বাড়ছে। মধু মাসের ফল সবাই নিতে চায়। ইতোপূর্বে প্রচুর বিক্রি হয়েছে তরমুজ। চাহিদাও ছিল বেশি। তবে সে তরমুজের মৌসুম একেবারে শেষ পর্যায়ে। এখন ক্রেতা সাধারণের আগ্রহ বেশি আম, লিচু ও আনারসে।
লোহাগাড়ায় অধিক লিচু আসছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে। নিকটস্থ বান্দরবান পার্বত্য জেলা থেকেও বিক্রেতারা নিয়ে আসছেন। শুরুতে প্রতি ১শ’ লিচুর দাম ছিল সাড়ে ৩শ’ টাকা দরে। এখন একটু কমেছে। প্রতি ১শ’ লিচুর দাম ২৫০টা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
রাজশাহী থেকেও লিচু আসে লোহাগাড়ার বাজারে। তবে সে লিচু এখনো সরবরাহ হয়নি। লোহাগাড়ার বাজারে আম আসে পার্বত্য বান্দরবানের লামা এলাকা থেকে। এলাকার আমও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১শ টাকা দামে। মিয়ানমার জাতের আমও পাওয়া যাচ্ছে সত্তর টাকা কেজিতে। এছাড়াও রাজশাহীর আমও লোহাগাড়ার বাজারে আসতে শুরু করেছে। দাম হাঁকা হচ্ছে প্রতি কেজি দেড়শ’ টাকা হিসাবে।
ছোট আকারের আনারস আসছে পার্বত্য এলাকা থেকে। তবে দাম প্রতি জোড়া ৫০ থেকে ৬০টাকা মূল্যে। লোহাগাড়ায় অন্যান্য হাটবাজারের চেয়ে উপজেলার সদরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক কেন্দ্র লোহাগাড়া বটতলী মোটর স্টেশনে সবসময় পাওয়া যায় মৌসুমি ফল।
অপরদিকে বাজারে আসতে শুরু করেছে কাঠাল আর কালো জাম, দামও বেশি। বিক্রেতারা জানান, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে খরচ হয় বেশি। তাই কম দামে বিক্রি করা যাচ্ছে না। কাঠাল আর কালো জাম সরবরাহ বাড়বে, দামও কমবে।