‘বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ (করোনা) এর প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের গন্তব্য দেশসমূহের প্রায় সবগুলোতেই আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ লক ডাউনে থাকায় একে একে ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হতে থাকে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে প্রথম লকডাউনের মধ্যে পোশাক শিল্প কারখানাসমূহ ২৬ দিন বন্ধ রাখা হয়। ফলশ্রুতিতে প্রাপ্ত তথ্যমতে প্রায় ৩.৭৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্রয়াদেশ বাতিল/ স্থগিত হয়। পোশাক শিল্পের মালিকগণ শিল্পের ভবিষ্যত ও শ্রমিকদের মজুরী প্রদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে গভীর সংকটে পতিত হলে সরকার কর্তৃক সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করায় শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধে সক্ষম হয়, এর জন্য পোশাক শিল্প পরিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।’
গতকাল বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, লকডাউনের মধ্যেও পোশাক কারখানা খোলা রাখায় রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। কারখানা বন্ধ রাখা হলে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আদেশ বাতিল / স্থগিত হবে। নতুন অর্ডার প্রাপ্তি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ও কন্টেইনার জটের সৃষ্টি হয়ে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হবে। শ্রমিকদের মাঝে করোনা সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে কম হবে। কারখানা বন্ধ রাখা হলে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, উক্ত বিষয়সমূহ সরকার কর্তৃক বিশেষ বিবেচনার পূর্বক বাংলাদেশের রপ্তানি খাতেরসমূহ বিপর্যয় এড়ানোর লক্ষ্যে জীবন-জীবিকার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন পূর্বক যথা নিয়মে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাসমূহ খোলা রাখার নির্দেশনা প্রদান করা প্রয়োজন।
এছাড়াও পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কাস্টমস্্, বন্দর, ব্যাংক সহ অন্যান্য দপ্তরসমূহ আংশিক ভাবে হলেও খোলা রাখা প্রয়োজন। বিজ্ঞপ্তি
লকডাউনে পোশাক শিল্প বন্ধের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী
বিজিএমইএ এর বিবৃতি