সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
শেষ চার ওভারে দরকার ছিল ৪৪ রান। হাতে ৭ উইকেট থাকলেও খুলনা টাইগার্সের জন্য কাজটা সহজ ছিল না। এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আজম খানকে নিয়ে চট্টগ্রামের ছেলে ইয়াসির আলি রাব্বি গড়লেন ২৬ বলে ৫০ রানের ম্যাচ জেতানো এক জুটি। ২ চার আর ৪ ছক্কায় ইয়াসির খেলেন ১৭ বলে ৩৬ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। আজম খান অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ১৫ করে। তাতেই ৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে দিয়েছে খুলনা। পাঁচ ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়, অন্যদিকে ৬ ম্যাচে চতুর্থ হার চট্টগ্রামের। খবর জাগোনিউজ’র
লক্ষ্য ছিল ১৫৮ রানের। মুনিম শাহরিয়ার শূন্য করে ফিরলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৭ হাজারি ক্লাবে নাম লেখানো তামিম ইকবাল ৩৭ বলে করেন ৪৪ রান। মাহমুদুল হাসান জয় ৪৪ বলে ৫ চার আর এক ছক্কায় খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। এর আগে কোনো ব্যাটার ফিফটি না পেলেও মোটামুটি ভালো একটা সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ফরহাদ রেজার শেষের ঝড়ে ভর করে ৯ উইকেটে ১৫৭ রান তোলে স্বাগতিকরা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। ম্যাক্স ও’দাউদ ৬ করে আউট হন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে। তবে এরপর উসমান খান আর আফিফ হোসেন ৪৪ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন। ঝড়ো ব্যাটিং করা উসমান ফিফটির কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৩১ বলে ৭ চার আর এক ছক্কায় ৪৫ রানে আমাদ ভাটের শিকার হয়ে ফিরতে হয় তাকে। আফিফ ধরে খেললেও ঠিক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে পারেননি।
৩১ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে মাত্র একটি চার আর ছক্কা ছিল তার। দারউইশ রসুলি ছিলেন আরও ধীর। ২৫ বলে করেন ২৪ রান। জিয়াউর রহমান ৯ বলে ১২, অধিনায়ক শুভাগত ৪ বলে আউট হন মাত্র ১ রান করে। তবে শেষদিকে ফরহাদ রেজা ৯ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় অপরাজিত ২১ রানের ক্যামিওতে দলকে পৌঁছে দেন ১৫৭ পর্যন্ত। ওয়াহাব রিয়াজ ৩৬ রান খরচায় একাই নেন ৪টি উইকেট। দুটি উইকেট শিকার করলেও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দেন ৪০ রান।