সুপ্রভাত ডেস্ক »
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামগ্রিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যের দিকে সর্বাধিক নজর দেবে সরকার। এছাড়া রাজস্ব খাত ডিজিটালাইজেশনসহ বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরবারহ ব্যবস্থা শক্তিশালী রাখা ও বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা সরকারের লক্ষ্য। সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, ফাস্ট ট্রাক অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সম্পদের যোগান দেওয়ায় সরকার সচেষ্ট।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাজেটে সরকারের মৌলিক নীতি নির্ধারণী দলিলসমূহের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দারিদ্র্য নিরসন, নারী ও শিশুর উন্নয়ন, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবেলা এবং দরিদ্র জনগোষ্টীর উন্নয়নে সেবার মান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা থাকবে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং বাজেট বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আসছে বাজেটে সামগ্রিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যের দিকে সর্বাধিক নজর দেবে সরকার। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটালাইজেশনে মনোযোগ বাড়ানো হবে।’
জ্বালানি তেলের দাম প্রতি মাসে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগানে বাড়তি নজর দেবে সরকার।’
এদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি মানা হয় বলেই সরকার বছরের পর বছর নানা খাতে ভর্তুকি ও রাজস্ব ছাড় দিয়ে আসছে বলে জানান অর্থ প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘চড়া মূল্যস্ফীতি, উৎপাদনশীলতা হ্রাসের এ সময়ে যথাযথ সংস্কার ছাড়া অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, এমন আশা করাটা বোকামি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজেটের আগে ঘটা করে ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যার কথা শোনা হয়। তবে এসব সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেয় না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।’
এছাড়া জ্বালানি ও ডলারসহ নানা সংকটে পড়ে শিল্প কারখানা বন্ধের কারণে ৬ মাসে ৪০ হাজার চাকরিজীবী বেকার হয়েছেন বলে জানান বিসিআই সভাপতি।
আর সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ভুল সিদ্ধান্তের ফল এখনও ভোগ করছে জনগণ। তাই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবতার নিরিখে প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিজিএমইএ পরিচালক শামস্ মাহমুদ, ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মাদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।