সুপ্রভাত ডেস্ক :
উত্তর গোলার্ধ পৃথিবীর সবচেয়ে অনুর্বর জায়গাগুলোর একটি। তাপমাত্রা এখানে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়ার পর্যন্ত নেমে যায়। ধূসর বরফে আবৃত এই অঞ্চলে কোনো গাছের পক্ষে টিকে থাকা অসম্ভব। ফলে এ ধরনের অঞ্চলকে শীতল মরুভূমি হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।
উত্তর মেরু থেকে প্রায় এক হাজার-মাইল দূরে প্রথম গাছের সন্ধান মেলে। আরো কিছু দক্ষিণে অগ্রসর হলেই চোখে পড়ে গভীর জঙ্গলের রাজত্ব। এটি বিশ্ববিখ্যাত তাইগা ফরেস্ট। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কনিফেরাস জাতীয় গাছ রয়েছে এই জঙ্গলে। এখানকার গাছের সংখ্যা পৃথিবীর সবগুলো রেইনফরেস্টের সম্মিলিত গাছের সংখ্যার সমান। তাইগা উত্তর মেরুর চারপাশে একটি বৃত্ত তৈরি করেছে।
পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ গাছের অবস্থান এখানেই। এটি এতোই অক্সিজেন উৎপন্ন করে যে, পুরো পৃথিবীর বায়ুম-লের উপর জঙ্গলটির প্রভাব রয়েছে। তবে এখানে আবহাওয়া এতোই চরমভাবাপ্নন যে, গাছগুলো বছরে মাত্র এক মাস বড় হওয়ার সুযোগ পায়। ফলে চারা থেকে পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় পৌঁছাতেই ৫০ বছর সময় লাগতে পারে।
জঙ্গলটিতে সাধারণত শুনশান নীরবতা বিরাজ করে। তবে মাঝে মাঝে তুষারের শুভ্র চাদরে প্রাণীদের পদচিহ্নে নকশা অঙ্কিত হয়। আর্কটিক শিয়াল, মেরু ভালুক, মস, ক্যারিবু, বলগা হরিণ, নেকড়েসহ কয়েক প্রজাতির পাখি এখানে সচরাচর দেখা যায়। তবে একটি প্রাণী এতোই দুষ্প্রাপ্য যে, এদেরকে রূপকথার প্রাণী বললেও ভুল হবে না। জীবনে একবার এদের সরাসরি দেখতে পাওয়াও নিতান্ত ভাগ্যের ব্যাপার।
লিনক্স! খাবারের জন্য এরা শত শত মাইল ভ্রমণ করে। এবং একই রাস্তায় সাধারণত দ্বিতীয়বার পদার্পণ করে না। ফলে পদচিহ্ন দেখেও এদের খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব। শিকারের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায়, শিকারিদের জীবন এখানে নির্মমভাবে কঠিন। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে খুব বেশি প্রাণী এখানে বসবাস করে না। তবে তাইগা এমন কিছু প্রাণী ধারণ করে, জীববৈচিত্র্যে যাদের স্থান অনন্য। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
ফিচার দেউড়ি