সুপ্রভাত ডেস্ক »
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করেনি এরকম অনেক মানুষ এখন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। কাগজপত্র কিছু নেই, মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার চেষ্টা ঠিক নয়।
আমি তাদের বলি আমি ১ মাস ট্রেনিং নিয়েছি। ভাতার জন্য দরখাস্ত করতে হয়নি। তালিকায় নাম তোলার জন্য দরখাস্ত করতে হয়নি। আপনাদের নাম নেই কেন? ভারতে যারা ট্রেনিং নিয়েছেন ওই ক্যাম্পে তাদের সবার নাম রয়েছে। শত শত লোক এখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে চাইছেন। খবর বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ যেমন আনন্দ ও গৌরবের। তেমনি বেদনারও। অনেক আত্মত্যাগ ও শহীদের মাধ্যমে আমরা দেশটি পেয়েছি। যদি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো তাহলে কোনো দিনও এ দেশ পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্ত হতো না। সাতই মার্চের ভাষণ না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি অনেকবার গুলির মুখে পড়েছি। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছি। আমার বাঁচার কথা ছিল না।
সাংবাদিক আহমেদ কুতুব মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে বই লিখেছেন তাতে অনেক অজানা ইতিহাস উঠে এসেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তার মতো আরো অনেকে বই লিখলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা যাবে না। আমিও মুক্তিযুদ্ধের ওপর বই লিখছি। তাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আপনারা জানতে পাবেন বলে আশা করি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সাংবাদিক-গবেষক আহমেদ কুতুবের ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম’ বইয়ের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দৈনিক পূর্বদেশের সহকারী সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ। সূচনা বক্তব্য দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি। অনুভূতি ব্যক্ত করেন সাংবাদিক-গবেষক আহমেদ কুতুব।
সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ড. ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন রেজা, সহ-সভাপতি স ম ইব্রাহীম, সাংবাদিক অনিন্দ্য টিটো, মোস্তাক আহমেদ, আসিফ সিরাজ, সাইদুল ইসলাম, সমকালের ব্যুরো প্রধান সরোয়ার সুমন, ন্যাপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, মোহাম্মদ ফারুক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চট্টগ্রাম জেলা কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক অলিদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মায়মুন উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
সভায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে ও কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক। প্রেস ক্লাবের সমৃদ্ধি হোক এটা আমরা চাই।
প্রধান আলোচক আলী আব্বাস বলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একটি সংগঠন। মুক্তিযুদ্ধের বই প্রকাশের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করার ঘোষণা দেন তিনি।
যুদ্ধ করেনি এমন অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হতে পাগল
‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম’ বইয়ের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ