নিজস্ব প্রতিবেদক »
পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও দুই শিক্ষার্থীর কাছে পরীক্ষার হলে মোবাইল পাওয়া যাওয়ায় তাদের বহিষ্কারের নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খিসা। তবে তাদের মোবাইল দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিল না, সাধারণ ছোটো মোবাইল ছিল। গতকাল এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে নগরীর চট্টগ্রাম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগেই কেন্দ্রের গেটে শিক্ষার্থীদের তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হয়। তখনই যাদের কাছে মোবাইল থাকে তা রেখে দেয়া হয়। কিন্তু এই দুই শিক্ষার্থী কিভাবে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করলো জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খিসা বলেন,‘কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হয়তো সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি। অন্যথায় তারা মোবাইল নিয়ে কিভাবে প্রবেশ করলো। পরীক্ষার হলে তাদের কাছে সাধারণ মোবাইল পাওয়া যাওয়ায় আমি বহিষ্কারের নির্দেশনা দিয়েছি।’
জানা যায়, মাহমুদুল হাসান ও তানজিব নামের দুই শিক্ষার্থী শেরশাহ ড. মাজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। এই দুই শিক্ষার্থী নকলের উদ্দেশ্যে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেনি। সাধারণ ছোটো মোবাইলগুলো দিয়ে হয়তো অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্যই সাথে রেখেছিল। স্মার্ট মোবাইল নিয়ে হলে প্রবেশ করা যাবে না বলে তারা জানতো, কিন্তু সাধারণ মোবাইল নিয়ে প্রবেশের বিষয়টি তাদের মাথায় ছিল না। এরমধ্যে একজন শিক্ষার্থী নিজ থেকেই তার কাছে মোবাইল আছে বলে জানিয়েছে। পরবর্তীতে তাকেও বহিষ্কারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্র পরিচালনায় নিয়োজিত শিক্ষক মোরশেদুল করিম বলেন,‘ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্র পরিদর্শনে এলে এক শিক্ষার্থীর পকেটে তল্লাশি করে মোবাইল পাওয়া যায়। তখন অপর এক শিক্ষার্থী নিজ থেকে জানায় যে তার কাছে মোবাইল রয়েছে। তখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এদের বহিস্কার করার বিষয়ে নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে সেই নির্দেশনার আলোকে হল পর্যবেক্ষকগন বিধি অনুযায়ী উভয়কে বহিস্কার করেন।’
এদিকে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ১ লাখ ৪০ হাজার ৪৭৪ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯১ জন, অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৬৮৩ জন।