সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আর্জেন্টিনার কোপা জয়ের পর কেটে গেছে দুই মাসেরও বেশি সময়। দীর্ঘ ২৮ বছরের আন্তর্জাতিক শিরোপা খরার আক্ষেপ ঘোচানো এই ট্রফি মেসি-মারিয়া প্রজন্মের সেরা অর্জন। দিয়েগো ম্যারাডোনা, হোর্হে সাম্পাওলিরা যা পারেননি তা করে দেখিয়েছেন লিওনেল স্কালোনি। ‘লা আলবিসেলেস্তেদের’ এই অর্জনের নেপথ্যের নায়ক স্কালোনি টিওয়াইসি স্পোর্টসকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন লিওনেল মেসি ও দল নিয়ে তার ভাবনা। কথা বলেছেন বাতিল হওয়া ব্রাজিল ম্যাচ নিয়েও।
লিগ ওয়ানে লিঁওর বিপক্ষে ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে মেসিকে তুলে নিয়ে আশরাফ হাকিমিকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হন মেসি। এ প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনা কোচ বলেন, ‘আমার অধীনে লিও যতক্ষণ খেলতে চাইবে সে খেলবে। আমরা একে অপরকে সম্মান করি আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আমি একবার ভেবেছিলাম তাকে তুলে নেব। কিন্তু পরে আমি তাকে খেলতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমার মনে হয় একজন খেলোয়াড়কে ৩৫ মিনিটের জন্য ঝুঁকিতে ফেলার চেয়ে তাকে শুরু থেকে খেলানো ভাল।
কোপা জয় যখন নিশ্চিত হল এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছিল আর্জেন্টিনা শিবিরে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আবেগে ভেসেছিলেন দুই ‘লিও’ মেসি ও স্কালোনি। ওই মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করে স্কালোনি বলেন, ‘আমার ইচ্ছে ছিল সাইডলাইনে মেডিকেল টিমের সাথে অপেক্ষা করব। কিন্তু তাকে মুখোমুখি পেয়ে আমাকেও আবেগ ছুঁয়ে যায়। তাকে খুশি দেখার অর্থ পুরো জাতিকে আনন্দিত করা। এই আলিঙ্গন আনন্দের, অনেক কষ্টের থেকে মুক্তির এবং আরও অনেক কিছুর।’
কোপার ঐতিহাসিক ফাইনালের পর ভক্তদের সামনে সুযোগ এসেছিল আরও একবার ব্রাজিল আর্জেন্টিনার দ্বৈরথ উপভোগের। কিন্তু আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের কোয়ারেন্টাইন আইন ভঙ্গের অভিযোগে ম্যাচটি আর মাঠে গড়ায়নি শেষ পর্যন্ত। বিব্রতকর এই অভিজ্ঞতা নিয়ে আর্জেন্টিনা কোচ বলেন, ‘একমাত্র আমরাই স্বাভাবিক আচরণ করেছি। কেউই আমাকে বলেনি তারা খেলতে পারবে না। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তারা আশা করেছিল ম্যাচটি মাঠে গড়াবে। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছিল ভুল যেটাই হোক আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো না।’
এদিকে সামনে ইউরোজয়ী ইতালির বিপক্ষে সুপার কাপে মাঠে নামবে মেসি-মারিয়ারা। সেই ম্যাচ নিয়ে স্কালোনি বলেন, ‘সবাই জানে আমরা সেরাদের বিপক্ষে খেলতেই পছন্দ করি। শেষবার আমরা জার্মানির বিপক্ষে খেলেছিলাম এবং সেটি ভাল একটি অভিজ্ঞতা ছিল। আমাদের জন্য ভাল খবর আমাদের অধিকাংশ খেলোয়াড় সর্বোচ্চ পর্যায়ে লড়াই করে। সূচি আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার।’