বিবৃতিতে সুজন
দেশের অর্থনীতির প্রাণ রেমিট্যান্স যোদ্ধা সৌদিপ্রবাসী কর্মীদের কোয়ারেন্টিনের খরচ কমাতে ভর্তুকি প্রদানের সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধারা করোনা মহামারীতেও দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রেখেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে প্রবাসী আয়। প্রবাস থেকে দেশে ছুটিতে আসা সৌদিপ্রবাসী কর্মীদের সে দেশে কাজে যোগদানের পূর্বে সাতদিনের কোয়ারেন্টিন এবং হেলথ ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি সরকার। বিশেষ করে সৌদি সরকার কোয়ারেন্টিনের জন্য যেসকল হোটেল নির্ধারণ করেছে তা প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত ব্যয় সাপেক্ষ। তাই তাদের কোয়ারেন্টিনের খরচ কমাতে ভর্তুকি প্রদানের সিদ্ধান্তের ফলে প্রবাসীরা উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রবাসীদের অনুপ্রাণিত করবে।
বর্তমানে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট এর নেতিবাচক প্রচারণার কারণে সৌদিআরব ছাড়া অন্য দেশগুলোতে বাংলাদেশের ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই এসময় সৌদিপ্রবাসী কর্মীদের পাশে দাড়িয়ে তাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান তিনি। বিশেষ করে আকামা নবায়ন ফি ও আকামার টাকা মওকুফ এবং হেলথ ইন্স্যুরেন্স স্থগিত করা যায় কিনা সে ব্যাপারে সৌদি সরকারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার আহ্বান জানান সুজন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে সৌদি সরকারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের দেশের প্রবাসীদের বিদ্যমান নানা সমস্যা সমাধান করছে। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া পাসপোর্ট নবায়ন এবং পাসপোর্ট সংশোধন যাতে দ্রুত হয়রানিমুক্ত ভাবে করা যায় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। কেননা প্রায় এক বছর ধরে তাদের অনেকের কাজকর্ম বন্ধ। অনেকে প্রবাসে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বর্তমানে কাজ চালু হওয়ার ফলে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে পাসপোর্ট নবায়ন, পাসপোর্ট সংশোধনসহ বিভিন্ন কাজে দূতাবাসে গিয়ে সময়ক্ষেপন করা অনেকের পক্ষে সম্ভবপর হচ্ছে না। ফলে তারা বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে। আবার অনেকে চাকুরি হারা হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ে কিভাবে এসব জটিলতাসমূহ অপসারণ করা যায় তার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি। প্রবাসীদের এ দুঃসময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের মানবিক হওয়ারও আহবান সুজনের।
তাছাড়া প্রবাসী কর্মীদের কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে খরচ কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় রাখার অনুরোধ জানান সুজন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যে সকল কর্মী যাবেন তাদের বয়স বিবেচনা না করে সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর নিকট সবিনয় অনুরোধ জানান। বিজ্ঞপ্তি