নিজস্ব প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড »
সীতাকু-ের জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উক্ত অভিযানে পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে বিপুল সংখ্যক ঘর বাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) মাসুদ কামাল, সীতাকু- উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হোসেন, সীতাকু- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমঙ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম, সীতাকু- মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ ও বিপুল পরিমাণ পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্য।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সরকার সীতাকু-ের জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার যেহেতু মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাই আলীনগরকে সাজাতে এখানে যত অবৈধ বসবাসরত আছে তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে আলীনগর ছাড়তে হবে। তারই অংশ হিসেবে আজকের এ উচ্ছেদ অভিযান। আলীনগরকে দীর্ঘদিন যাবৎ অপরাধের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে রেখেছিল। একমাসের মধ্যে পাহাড় কেটে বসবাস করা অবৈধদের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা হবে। তবে যারা মূলত ছিন্নমূল মানুষ এখানে বসবাস করছেন তাদের লিস্ট তৈরির কাজ চলছে। প্রকৃত ছিন্নমূলদের পুনর্বাসন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ জায়গাই সরকারি খাস জমি। পাহাড়খেকো ইয়াসিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বেশ অনেকদিন যাবৎ পাহাড় কেটে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে। অনেক এলাকা জুড়ে অবৈধ স্থাপনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তাই এখানে কাজের ব্যাপ্তি অনেক বেশি। পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করছে।
জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, এখানে বিভিন্ন সরকারি দফতর স্থাপিত হবে। এই এলাকাটি চমৎকার একটি এলাকায় পরিণত হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।
জঙ্গল ছলিমপুর এলাকা অনেকবেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ২০১০ এবং ২০২২ এর তথ্য মতে ৩০ শতাংশ পাহাড় কেটে ফেলেছে পাহাড়খেকোরা
মঙ্গলবার বিকেলে জঙ্গল সলিমপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মফিদুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
উচ্ছেদ অভিযানে আলী নগরে ১৭৫ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৭০০ একর পাহাড়ি জমি উদ্ধার করা হয়েছে। উচ্ছেদের সময় আলীনগরে সরকারি জমিতে ইয়াসিনের নির্মিত অফিস, ঘর এবং তার বিশেষ টর্চার সেল (এখানে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে যারা যেতো তাদেরকে নির্মম অত্যাচার করা হতো) গুড়িয়ে দেয়া হয়।