সুপ্রভাত ডেস্ক :
ইন্টারনেট সেবা খাতে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি), ইন্টারনেট গেইটওয়ে (আইআইজি) এবং নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন সেবাদাতাদের (এনটিটিএন) সেবার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর ফলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত ভ্যাটের বোঝা থেকে মুক্ত হল।
ইন্টারনেট খাতে ভ্যাট জটিলতার সমাধান না হলে সারা দেশে কিছু সময়ের জন্য ইন্টারনেট বন্ধের হুমকি দিয়েছিল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি। তাদের হুমকির প্রায় দেড় মাস পর বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করল অর্থ মন্ত্রণালয়।
ইন্টারনেটে ৫% ভ্যাট এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য (আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) খাতে ১৫% আরোপিত ভ্যাট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৃষ্ট জটিলতার কারণে চলমান ইন্টারনেট সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করে আসছিল আইএসপিএবি।
সংগঠনের সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভ্যাট জটিলতার অবসান হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ খরচ দিতে হচ্ছিল, এখন তা ১৫ শতাংশে আসবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট খরচ না কমলেও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যে ক্ষতিতে ছিল তা থেকে উঠে আসবে।’
সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের হুমকি
আইএসপিএবি সেক্রেটারি এমদাদুল হক বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের পর ইন্টারনেট সেবাদাতারা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে এবং যে টাকা তাদের অতিরিক্ত ভ্যাট বাবদ দিতে হত তা এ খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা দিতে পারবে।’
আমিনুল হাকিম বলেন, ‘৫ শতাংশ ভ্যাট ইন্টারনেট গ্রাহক থেকে আদায় করে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো। অপরদিকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ভ্যালু চেইনের অন্যান্য খাত আইএসপিগুলো থেকে আদায় করে থাকে। এর ফলে ৫ শতাংশ ভ্যাট গ্রাহক থেকে আদায় করা হলেও আইটিসি বা আইআইজির সেবা এবং এনটিটিএনের সেবার বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হচ্ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ খরচ দিতে হচ্ছিল আইএসপিগুলোকে।’
এর ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য ৩০% থেকে ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে জানান আমিনুল। আইএসপিএবির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে ৮০ লাখের বেশি বাড়িতে তারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন প্রায় সাড়ে ৩ কোটি গ্রাহক। খবর : বিডিনিউজ’র।
বিজনেস