সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
অনেকেই বলেন, ভারত-পাকিস্তান লড়াই আকর্ষণ হারিয়েছে। আগের মতো আর জমে না দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ। তবে মাঠের খেলায় জমুক আর না জমুক, দর্শকদের কাছে এই দুই দলের লড়াইয়ের উত্তেজনা একটুও কমেনি, বোঝা গেলো আরও একবার। যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে আগামী ১ জুন থেকে বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ১০০ দিনের কাউন্টডাউন। অগ্রিম টিকিট বুকিং শুরু হয়েছিল আরও আগে। সবচেয়ে বেশি লাভজনক ম্যাচ হওয়ায় প্রতিবারের মতো এবারও ভারত-পাকিস্তানকে রাখা হয়েছে একই গ্রুপে। আগামী ৯ জুন নিউইয়র্কের ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। এই ম্যাচের টিকিটের জন্য ২০০ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি। এবার পাবলিক ব্যালটের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করেছিল আইসিসি। সেখানে ১৬১টি দেশের ৩০ লাখ মানুষ আবেদন করে। অবিক্রীত টিকিট কেনার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের তিন ভেন্যুতে হতে চলা ১৬ ম্যাচের মধ্যে ৯টিরই সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। যেখানে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী ব্রেট জোন্স বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান এমনটি একটি ম্যাচ, যা নিয়ে সবার আগ্রহ থাকে। দল দুটি যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে আসছে, এটা খুবই আনন্দের। টিকিটের জন্য মানুষের এই আগ্রহ চমৎকার ব্যাপার। ব্যালট-প্রক্রিয়ায় দেখেছি, টিকিটের বিশাল চাহিদা ছিল।’ নিউইয়র্কে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে স্ট্যান্ডার্ড গ্যালারির টিকিটের মূল্য ১৭৫ ডলার (প্রায় ১৯ হাজার টাকা)। স্ট্যান্ডার্ড প্লাস টিকিটের দাম ৩০০ ডলার (প্রায় ৩৩ হাজার টাকা)। প্রিমিয়াম টিকিটের দাম ৪০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৪ হাজার টাকা। তারপরও টিকিট নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন দর্শকরা। খবর জাগোনিউজ’র