সুপ্রভাত ডেস্ক »
কাশ্মীরের শ্রীনগরের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র ডাল লেকে কয়েকটি হাউজবোটে আগুন লেগে নিহত তিন বাংলাদেশি পর্যটকের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে।
তারা তিনজনই চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে তারা অগ্নিদুর্ঘটনায় পড়েন। নিহতরা হলেন রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল, চট্টগ্রামের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশ গুপ্ত ও ঠিকাদার মো. মাঈনুদ্দীন। খবর বিডিনিউজের।
মাঈনুদ্দীন ও ইমনের বাড়ি রাউজান উপজেলায়। আর অনিন্দ্য কৌশলের বাড়ি মিরসরাই উপজেলায়। অনিন্দ্য ৩০তম বিসিএস এবং ইমন ৩৩ তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।
মাঈনুদ্দীনের নিকটাত্মীয় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, গত ৩ নভেম্বর তারা তিনজনই চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তারা কাশ্মীরে বেড়াতে যান। এর মধ্যে গতকাল (শনিবার) দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়।
গতকাল (শনিবার) টেলিভিশনে তিন বাংলাদেশি পর্যটকের মৃত্যুর খবর দেখে আমরা বিভিন্নভাবে খবরাখবর নেওয়া শুরু করি। পরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়।
নিহত মাঈনুদ্দীন পুলিশ কর্মকর্তা আসিফ মহিউদ্দিনের চাচাত বোনের স্বামী। এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে মাঈনুদ্দীনের। বড় মেয়ে নবম শ্রেণিতে এবং ছেলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
ইমন দাশ গুপ্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ।
তিনি বলেন, এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না ইমন নেই। ভারতের পত্র-পত্রিকার খবর থেকে শুরুতে আমরা ঘটনা জানতে পারি। পরে সেখানকার অথরিটি পরিচয় নিশ্চিত করেছে। আমরা পরিবারের একজনকে হারালাম।
অনিন্দ্য কৌশলের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না গণপূর্তের রাঙামাটি কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী জয় বড়ুয়াও।
তিনি বলেন, স্যারের আজমীর শরীফ যাওয়ার কথা। সেখান থেকে কাজ শেষে কাশ্মীরে যাচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘটনা…। কিছুই বুঝতে পারছি না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে ডাল লেকের নয় নম্বর ঘাটের কাছে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমে একটি হাউজবোটে আগুন লাগে এবং পরে তা পাশে নোঙ্গর করে রাখা আরও চারটি হাউজবোটে ছড়িয়ে পড়ে।
রয়টার্স জানায়, পুড়ে যাওয়া পাঁচটি হাউজবোটের মধ্যে একটিতে তিন বাংলাদেশি পর্যটক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন সাতজন।