সুপ্রভাত ডেস্ক :
দুই সপ্তাহের বেশি হয়ে গেল অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত চলে গিয়েছেন। এই ঘটনা যে বলিউডের কাছে বিরাট ক্ষতি তা বলাই বাহুল্য। সুশান্ত বন্ধু এবং অনুরাগীরা এখনো তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে রয়েছেন। অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে বললেন, সুশান্ত সিং রাজপুত বেঁচে থাকলে হয়তো অভিনেতা হিসেবে ভারতের কাছে প্রথম অস্কার এনে দিতে পারতেন।
সেলিনা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান তিনি নিজেও একসময় অবসাদে ভুগেছেন। বাবা মা এবং নিজের সদ্যোজাত সন্তান মারা যাওয়ার পর অবসাদে চলে গিয়েছিলেন সেলিনা। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে থেকে জানা যাচ্ছে সুশান্ত অবসাদে ভুগছিলেন। অবসাদ নিয়েও অভিনেত্রী কথা বলেছেন। সেলিনা বলছেন, ‘ডিপ্রেশন একটা রোগ। কে জীবনে কতটা সফল বা কেউ কতটা ধনী বা দরিদ্র সেসব দেখে এই রোগ আসে না। এটি যে কারো সঙ্গে হতে পারে। যেকোনো বয়সের মানুষের ডিপ্রেশন আসতে পারে। আর এই রোগের অবশ্যই চিকিৎসা দরকার। এই রোগ ফেলে রাখা উচিত নয়।’
সেলিনা মনে করছেন সুশান্তের মৃত্যু বলিউডের কাছে এক বিরাট মাপের ক্ষতি। হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘এটা সত্যি খুব দুঃখজনক যে এত বড় একজন গুণী মানুষকে হারাতে হলো। কেউ সন্তান হারালেন, কেউ নিজের ভালবাসার মানুষকে হারালেন, কেউ আবার নিজের ভাইকে হারালেন। আর সবচেয়ে বড় কথা, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি একজন বড় গুণী মানুষকে হারালো। এমন একজন গুণী মানুষ চলে গেলেন, যিনি হয়তো ভবিষ্যতে অভিনেতা হিসেবে ভারতে প্রথম অস্কার জিততে পারতেন। বলা তো যায় না! আমরা কেউই জানিনা ভবিষ্যতে সুশান্তের মতো গুণী অভিনেতা আরো কী কী ভালো কাজ করতে পারতেন।’
একসময় অবসাদে চলে গিয়েছিলেন সেলিনা জেটলি। কিন্তু পরিবার সঙ্গে থাকায় সেই পরিস্থিতি অতিক্রম করতে পেরেছেন সেলিনা। তিনি বলছেন, ‘আমার চারপাশে এমন মানুষজন ছিল যারা আমার খেয়াল রেখেছে। আমার স্বামী আমার অনেক খেয়াল রেখেছিল। আমি চিকিৎসকের সাহায্য নিয়েছিলাম। আমি অবসাদ থেকে পুরোপুরি এখনও বেরোতে পারিনি কিন্তু এখন আগের থেকে অনেক ভালো আছি।’
প্রসঙ্গত অস্ট্রিয়ার উদ্যোগপতি পিটার সাগির সঙ্গে বিয়ে করেছেন সেলিনা। তাদের যমজ সন্তানের নাম উইনস্টন ও বিরাজ। এছাড়াও ২ বছর বয়সী সন্তান আর্থারের বাবা মা তারা।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।