ঢাকা–চট্টগ্রাম ৫৫ মিনিটে যাবে কক্সবাজারে
নিজস্ব প্রতিবেদক »
বুলেট ট্রেন যাবে কক্সবাজারও। ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালু নিয়ে সমীক্ষা চলছে। আর তা বাস্তবায়ন করা গেলে ৫৫ মিনিটে ঢাকা–চট্টগ্রাম যাতায়াত করা যাবে। বর্তমানে ৩২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু উচ্চগতির ঘন্টায় ৩৫০ কিলোমিটার বেগে চলাচলকারী ট্রেন চালু হলে এই সময় ৫৫ মিনিটে নেমে আসবে। আর যদি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে বুলেট ট্রেন চালু করা হয় তাহলে সময় লাগবে দুই ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। আর দোহাজারি হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন চালু হলে বুলেট ট্রেন চলে যাবে কক্সবাজার পর্যন্ত।
এদিকে বুলেট ট্রেন চালানোর উপযোগী করে বর্তমানে বসানো হচ্ছে রেললাইন। ইতিমধ্যে ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালুর জন্য সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারণ করা হয়েছে রুটও। প্রতিদিন ৫০ হাজার যাত্রী চলাচল করবে এই রুটে। ২০১৭ সালের মার্চে পরিকল্পনামন্ত্রী “ঢাকা–চট্টগ্রাম হয়ে কুমিল্লা/লাকসাম উচ্চগতির রেল পথের সম্ভাব্যতা এবং বিশদ নকশার পরিকল্পনা” প্রকল্পের অনুমোদন দেন। চায়না রেলওয়ে ডিজাইন কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশের মজুমদার এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজটি করেন। ১১০ কোটি টাকায় এই প্রকল্পের বিশদ নকশা তৈরির কাজ শেষ। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২৭ দশমিক ৩ কিলোমিটারের ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ–ফেনী–চট্টগ্রাম রেল রুটের অনুমোদন দিয়েছেন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের এই প্রকল্পটির জন্য মোট আনুমানিক ব্যয় হবে প্রায় ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৯৬ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। প্রকল্পটির জন্য ৬৬৮ দশমিক ২৪ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে, ফলে এটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ রেলওয়েকে ৪৬৪ দশমিক ২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। গত বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথটি সম্প্রসারিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। আর এতে কক্সবাজার পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী রেললাইন স্থাপনে আর কোনো বাধা নেই। ফলে বুলেট ট্রেনে চড়ে মানুষ ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাতায়াত করতে পারবে।