ক্ষতি ৬ লাখ টাকা
নিজস্ব প্রতিনিধি, লামা :
লামায় বিষ প্রয়োগে ৯টি গরু মেরে ৬ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন কয়েকজন উপজাতি কৃষক-কৃষাণি।
গত ৬ অক্টোবর দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, উপজেলার লামা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন গরুগুলোকে বিষ প্রয়োগ করে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন, গজালিয়া ইউনিয়নস্থ ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট বমু হেডম্যানপাড়ার বাসিন্দা-হ্লায়ইমা মার্মা, হ্লাধুংমং মার্মা, পাইচিংখই মার্মা, পাখি মার্মা, সুইওয়াংবো মার্মা, উমেচিং মার্মা ও য়ইথুচিং মার্মা।
জানা যায়, দরিদ্র এসব উপজাতি কৃষক-কৃষাণিরা গবাদি পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তাদের প্রত্যেকের ৪/৫টি করে গরু রয়েছে। ছোটবমু হেডম্যানপাড়া সংলগ্ন এলাকায় তাদের গো-বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে একটি জায়গায় যৌথভাবে ঘেরাবেড়া দিয়ে দীর্ঘ বছর সেখানে গরু লালন পালন করছে। এর পাশে জামাল নামের এক কৃষক সেখানে একটি সেগুন বাগান সৃজন করে উপজাতিদেরকে গরুর খামার সরিয়ে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। অন্যথায় গরুগুলোকে মেরে ফেলবে বলেও বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলো বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। বিগত ৪ সেপ্টেম্বর ৯টি গরুকে বিষ প্রয়োগ করে জামাল উদ্দিন। ঘটনার দিন দুপুরে খামারের অদূরে ৬টি গরু মৃত অবস্থায় পড়ে আছে খবর পায় তারা। এসময় পশু চিকিৎসক থেকে জানা যায় বিষক্রিয়া আক্রান্ত হয়ে গরুগুলো মারা গেছে। এর কিছুক্ষণ পরে আরো দুটো গরুর অবস্থা খারাপ দেখে, সেগুলো জবাই করে দেয়া হয়। কয়েকদিন পর খামারের অদূরে আরেকটি গরুর কঙ্কাল খুঁজে পান কৃষাণিরা।
এব্যাপারে স্থানীয়ভাবে বিচার প্রার্থী হয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে, অবশেষে তারা দেরিতে হলেও আইনের আশ্রয় নেন বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান।
এ ব্যাপারে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
এসব উপজাতি কৃষাণিদের চাষযোগ্য কোন ভূমি নেই। তারা গবাদি পশু লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। শেষ সম্বল গরুগুলো হারিয়ে এখন তারা নিঃস্ব।