সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বিশ্বকাপেই খেলার কথা ছিল না অ্যালেক্স হেলসের। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগেই দল থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকায় দলেও ফিরতে পারছিলেন না। অবশেষে এবারের বিশ্বকাপের আগে অপ্রত্যাশিত সুযোগ পেয়ে যান। জনি বেয়ারেস্টোর ইনজুরির কারণে দলে ডেকে নেয়া হয় অ্যালেক্স হেলসকে। ওই সময় জানিয়ে দেয়া হয়, হেলসের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের আর কোনো বিরোধ নেই।
সেই হেলস এবং অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাটে ভারতকে উড়িয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেলো ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। খবর জাগোনিউজের
রান তাড়া করতে নেমে ৪৯ বলে ৮০ রান করেন জস বাটলার। ৪৭ বলে ৮৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন অ্যালেক্স হেলস।
বিশ্বকাপ খেলাটাই যার কাছে ছিল অনিশ্চয়তায় ঘেরা, সেই হেলস যখন ম্যাচ সেরা ইনিংস খেলে দলকে ফাইনালে নিয়ে যান, তখন নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগে গদগদ হয়ে ওঠেন তিনি।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে হেলস বলেন, ‘অনেকদিন পর এভাবে খেলতে পেরে আমি খুশি। ব্যাটিং করার জন্য এটা অন্যতম সেরা একটা মাঠ। শর্ট বাউন্ডারি খেলার আদর্শ জায়গা। এখানে মনে রাখার মত অনেক স্মৃতি রয়েছে।’
‘আমি কখনো ভাবিনি এই বিশ্বকাপ খেলতে পারবো। আজকের এই অনুভূতি আমার জন্য বিশেষ কিছু। এই দেশে খেলতেও আমি ভালোবাসি। আর জস বাটলার ছিলেন তার জায়গায় অবিশ্বাস্য।’