নিজস্ব প্রতিনিধি, মানিকছড়ি »
মানিকছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ পাহাড়ি পাঁচ পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়ন ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জনপদ দুইল্যাছড়ি ও বটতলীর গহীন অরণ্যে গোপন তথ্যে শনিবার ভোর রাতে অভিযান পরিচালনা করেন গুইমারা রিজিয়নের একদল সেনাবাহিনী সদস্য। টানা ১০ ঘণ্টার অভিযানে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদসহ মগ লিবারেশন পার্টির ৫ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। তবে আটক সন্ত্রাসীদের নাম, ঠিকানা (পরিচয়) দুপুর দেড়টা নাগাদ নিশ্চিত করতে পারেনি যৌথবাহিনী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়ন ও ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দুইল্যাছড়ি, বটতলী গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র অবস্থানের গোপন তথ্যে শনিবার ভোর সাড়ে ৩টায় গুইমারা রিজিয়নের সিন্দুকছড়ি ও লক্ষ্মিছড়ি জোনের সেনাবাহিনী ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ অভিযান শুরু করে। সকাল ১১টার দিকে নির্জন একটি বসত ঘরে লুকিয়ে থাকা এবং চৌকির নিচে স্তূপ করে রাখা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার ও ৫ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
তাদের আস্তানা থেকে উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে একে-৪৭ ১টি, মর্টার ৪টি, পয়েন্ট ২২ মি.মি. রাইফেল ১টি, এম-১. ১টি, ইউনিফর্ম-৫ জোড়া, চায়না পিস্তল ১টি, এলজি শর্ট ব্যারেল ১টি, এলজি এমো. ৩৬ রাউন্ড, একে-৪৭ এমো ৭ রাউন্ড, এম ১ এমো -২৪ রাউন্ড, মোবাইল সেট ৬টি, ভারতীয় মুদ্রা ১১০ রুপি, ওয়াকিটকি ২টি, বাউন্ডার ৬টি, মাইন তৈরির সরঞ্জামাদি, ও কাঁচের বোতল ৩৭টি।
দুপুর সাড়ে ১২টায় আটক সন্ত্রাসী ও উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র মানিকছড়ি সেনা ক্যাম্পে আনা হয়। সেখানে সন্ত্রাসী ও উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের ছবি ও বিবরণ উপস্থাপন করা হলেও সন্ত্রাসীদের নাম, ঠিকানা নিশ্চিত করতে পারেনি যৌথবাহিনী।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল সৈয়দ পারভেজ মোস্তফা। এ বিষয়ে বিকেলে ফটিকছড়ি পুলিশ সন্ত্রাসীদের নাম, ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ করবেন বলে জানানো হয়।
ফটিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার বটতলী এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্টির অবস্থানের খবরে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাসহ পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।