সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে ভোট শুরু হয়েছে।
৩৫ পরিচালক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। পরবর্তী নেতৃত্ব নির্ধারণে প্রায় আড়াই হাজার ভোটার তাদের রায় দেবেন।
নির্বাচনে এবার দুটি প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫টি পরিচালক পদে প্যানেল দুটি থেকে লড়ছেন ৭০ জন প্রার্থী। গত এক মাস ধরে দুই প্যানেলের প্রচার-প্রচারণাও ছিল লক্ষ্যণীয়।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, বিজিএমইএ নির্বাচনে এবার ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের ভোটার দুই হাজার ৩২ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৪৬৪ জন। ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ও চট্টগ্রামের দক্ষিণ খুলশীতে অবস্থিত বিজিএমইএর আঞ্চলিক কার্যালয়ে একযোগে ভোট হবে। উভয় অঞ্চলের ভোটার যেকোনো একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন। প্রত্যেক ভোটারকে ঢাকায় ২৬ ও চট্টগ্রামের ৯ প্রার্থীর জন্য মোট ৩৫টি ভোট দিতে হবে। কম বা বেশি ভোট দিলে পুরো ব্যালট বাতিল হয়ে যাবে।
গত কয়েক বছর ধরে বিজিএমইএ নির্বাচনে মূলত দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম— এই দুটি প্যানেলের নেতারাই বিজিএমইএর সভাপতি ও অন্যান্য পদে নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
এবার সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেহা ডিজাইনের চেয়ারম্যান ও বিজিএমইএর বতর্মান কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি। ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুরমা গার্মেন্টসের পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বর্তমান কমিটির পরিচালক ও গত কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিজিএমইএ নির্বাচনে সাধারণত নির্বাচনের দিনই নেতা নির্বাচন চূড়ান্ত হয়ে থাকে। তবে নেতা নির্বাচন নিয়ে আপত্তি থাকলে আপিলের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আপিল নিষ্পত্তির পর ২৮ মার্চ চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তারপর নির্বাচিত নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করবে।