সুপ্রভাত ডেস্ক »
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন ‘চায় না’, মূলত তারা দেশকে ‘অস্থিতিশীল’ করতে চায়। বিএনপি তাদের ‘বিদেশি প্রভুর পদলেহন’ করে এবং তাদের (বিদেশি প্রভু) দিয়ে দেশের মানুষকে ‘কষ্ট দিতে চায়’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
সরকারপ্রধান ফের জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে।
মঙ্গলবার ইতালির রোমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বাসস জানিয়েছে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী হবে। বিএনপি জানে, জনগণ তাদের ভোট দেবে না। তাই বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। ভোট কারচুপির কারণে যারা বিতাড়িত হয়েছে জনগণ তাদের ভোট দিতে যাবে কেন?’
সরকার ‘হঠানোর’ আন্দোলনে রাজপথে থাকা বিএনপি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘তারা (বিএনপি) নির্বাচন চায় না। তারা তাদের কিছু বিদেশি প্রভুর পা চাটে এবং তারা চায় দেশের মানুষ ওই বিদেশি প্রভুদের দিয়ে কষ্ট পাক।’
এ বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে আবারও ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে’ ঠেলে দিতে চায়।
‘তারা দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। বিএনপি কখনো দেশবাসীর কল্যাণ চায় না। তাদের উদ্দেশ্য হল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। তাই তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের অগ্রগতি ব্যাহত করা।’
শেখ হাসিনার প্রশ্ন, ‘অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যার পর কীভাবে তারা ভোট চায়?’
আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে।’
র্যাবের ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও মার্কিন ভিসানীতি নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তারা দেশের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই কাজের রহস্য বুঝতে পারছি না।’
স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের সঙ্গে নানাভাবে ‘খেলতে’ চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খেলোয়াড়দের খেলতে দেওয়া যাবে না। যে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নস্যাৎ করতে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
প্রবাসীদের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তাদের বৈধ উপায়ে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। আইসিটি খাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি অংশীদার খোঁজার কথা বলেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে যে দেশে বসবাস করছেন, সবাইকে সেই দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতেও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের অবৈধ উপায়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে নিরুৎসাহিত করার ওপর জোর দেন।