সুপ্রভাত ডেস্ক »
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বলে তার আইনজীবী মো. আজমুল হুদা জানান। তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার মামলায় এই আদালতের জামিন দেওয়ার এখতিয়ার না থাকায় তিনি আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
“পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মাগুরায় মিতু–বাবুলের দুই সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের সাক্ষ্য নিতে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ৩০ জুন নির্দেশ দিয়েছিল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
সে বিষয়ে আজমুল হুদা বলেন, “সেই আদেশ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। যেহেতু লকডাউন চলছে। গণপরিবহন যখন চলবে তখন তা বাস্তবায়ন করা হবে।”
স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বর্তমানে ফেনী কারাগারে আছেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে।
পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়, যার বাদী ছিলেন বাবুল নিজেই।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর পিবিআই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে বাবুলের জড়িত থাকার কথা জানালে ১২ মে নতুন মামলা করেন মিতুর বাবা। ওই মামলায় এখন বাবুল কারাগারে।