সংবাদদাতা, নাইক্ষ্যংছড়ি:
পাবর্ত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারী নারী ঘুমধুম ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড়ের রহিম আলীর স্ত্রী রশিদা বেগম (৭০)। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় তার নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আবু জাফর সেলিম। তিনি জানান, ৯ দিন আগে জ্বর, সর্দি, কাশি এবং বুকব্যথা নিয়ে কক্সবাজার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছিল রশিদা বেগম। পরে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক ডাক্তার এই প্রতিবেদককে জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাই রোগীকে উখিয়া হাসপাতালের আইসোলেমনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই রোগী হাসপাতালের আইসোলেশনে না থেকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলে হাসাপাতাল থেকে বাসায় চলে গিয়েছিল। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীকে দাফনের জন্য উপজেলার প্রশাসনের টিমকে সাথে নিয়ে করোনায় মারা যাওয়া নারীকে নিয়ম অনুযায়ী দাফন করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার এ পর্যন্ত ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতাল থেকে ১০জন শনাক্ত করা হয়েছে বাকি ৩ তিন জন উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যম্পের এসএমএফ হাসপাতাল থেকে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রথম মৃত্যু ব্যক্তি রশিদা বেগম রোহিঙ্গা ক্যম্পের শনাক্ত করা করোনা পজেটিভ রোগী।