নিজস্ব প্রতিবেদক »
পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ও ক্রেতাদের পণ্যমূল্য সর্ম্পকে অবগতির জন্য নগরের বাজারগুলোতে বসানো হবে ডিজিটাল মূল্যতালিকা। এ মূল্যতালিকা এক মাসের মধ্যে বসানো হবে। আমরাই এটা নিশ্চিত করবো।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অবাধ সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
গতকাল বেলা তিনটায় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের মতামত জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যক্ত করেন।
বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা মোবাইল কোর্ট করতে চাই না। আমাদের যাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে না হয় সে ব্যবস্থা করেন। ডিজিটাল মূল্যতালিকা করে দেব। এক মাসের মধ্যে এটা করা হবে। আমরা এটা নিশ্চিত করব।
তিনি বলেন, বাজারভিত্তিক কমিটি রয়েছে। বাজারে যদি কোনো সমস্যা দেখি আমরা সরাসরি বাজার কমিটিকে ধরব। ভেজালের বিষয়েও আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। ভেজালের খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন, ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওজনে কোনো হেরফের হলেও ব্যবস্থা। চাঁদাবাজির ভোগান্তির বিষয়ে আমরা দেখবো। টিসিবির পণ্য সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিক্রি শুরুর পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ শাখা) মাসুদ কামাল, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার, চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ প্রমুখ।
মমিনুর রহমান আরো বলেন, আমদানিকারকদের সঙ্গে একটা সভা করব। উচ্চ পর্যায়ে আমাদের একটি কমিটি দরকার। বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ বা বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করার সুপারিশ করবো। যাতে তারা এটি মনিটরিং করতে পারে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, পাইকারি আর খুচরা বাজারের মধ্যে ব্যাপক তফাৎ, এটা দূর করতে হবে। চালের আড়তদার বলে আমার কাছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসবে না, ডালের আড়তদার বলবে আমার কাছে না। তাহলে কার কাছে যাবে। আমরা চাই সব জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হোক। এটা আমাদের একটা আস্থার জায়গা। মোবাইল কোর্ট যতক্ষণ বাজারে থাকে ততক্ষণ দাম ঠিক থাকে, চলে গেলে আবার বাড়ে কেন? নিজেদের সচেতন থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে আমরা ভালো আছি। আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করা দরকার। পণ্যের দাম একবার বাড়লে সেটি আর কমতে চায় না। তাই তদারকি প্রয়োজন। নিজেদের মধ্যে সচেতনতা থাকতে হবে। তাহলে অন্যরা সচেতন হবে।
চাক্তাই আড়তদার কমিটির সভাপতি আহসান খালেদ বলেন, সিন্ডিকেট, মজুদদারদের হাত থেকে ব্যবসাটা উদ্ধার করতে সোচ্চার হয়েছি। চাহিদা থাকলে বাজার বেড়ে যায়। দশজনের জিনিস একজনে নিয়ে যায়। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজার আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক শিবলী বলেন, পেঁপে ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, আলু ১২ টাকা করে বিক্রি হয়। কিন্তু সেগুলো বাজারে যেতে যেতে দ্বিগুণ হয়ে যায়।