সুপ্রভাত ডেস্ক
বাংলাদেশ সফরে আসা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় উত্থাপিত হলেও আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মুখপাত্র।
অবশ্য বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে আইএমএফ প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে। চলতি মাসের শেষে আইএমএফ বোর্ড বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করবে এবং ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে। চূড়ান্ত আলোচনার জন্য আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ পাঁচ দিনের সফরে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকায় এসেছেন। খবর বাংলা ট্রিবিউন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহর নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং ডেপুটি গভর্নরসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘বিভিন্ন সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার পক্ষে যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে আজ আইএমএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের পদক্ষেপ তুলে ধরেছি। তারা (আইএমএফ) এসব নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছেন। আমরা সবকিছু তুলে ধরেছি।’
ঋণ ও আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আজকের বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, তবে আইএমএফের ঋণ পাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না, নিয়ম অনুযায়ী ঋণ পাবো। ধারাবাহিক কর্মসূচির আওতায় আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। আইএমএফের কোনও কোয়ারি (প্রশ্ন) ছিল কিনা জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, তারা জানতে চেয়েছেন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আমরা কী কী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। আমরা তাদের কাছে সেসব চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছি। তারা শুনেছেন এবং প্রশংসা করেছেন। করোনাকালে কীভাবে আমরা পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন দিয়েছি, কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি- সেসব বিষয় তাদের বলেছি, তাদের সামনে তুলে ধরেছি। আবার আজ বিকালে যখন আমাদের মুদ্রানীতি আসবে, তখন আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো আরও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, আর্থসামাজিক খাত নিয়েও তারা কথা বলেছেন। বৈশ্বিক অর্থনীতির যে চ্যালেঞ্জ সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি সেসব বিষয়ে তারা জেনেছেন।
আমরা যে প্রো-অ্যাকটিভ ইকোনমিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গিয়েছি সেটা নিয়ে কথা বলেছেন। সব বিষয় তারা শুনেছেন এবং প্রশংসা করেছেন।