সুপ্রভাত ডেস্ক »
দৃশ্যমান তেমন কোনো দুর্বলতা নেই। বিস্ফোরক সব ব্যাটসম্যানের সঙ্গে আছেন কার্যকর অলরাউন্ডার। গতিময় পেসারের সঙ্গে বোলিং আক্রমণে ছন্দে থাকা অফ স্পিনার ও লেগ স্পিনার। কী নেই ইংল্যান্ড দলে। ওয়েন মর্গ্যানদের বিপক্ষে কী আসলেই কোনো সুযোগ আছে বাংলাদেশের। প্রশ্ন শুনে একটু ক্ষুুব্ধই হলেন ওটিস গিবসন। বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের বিশ্বাস, ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ক্রিকেটের মাঝেই সুযোগ আসবে তাদের।
আবুধাবিতে বুধবার সুপার টুয়েলভের ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে গিবসন জানালেন, আগের ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের গুঁড়িয়ে দেওয়া দলটির বিপক্ষে সাহস নিয়েই খেলবেন তারা। খবর বিডিনিউজের।
‘জেতার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নটা অদ্ভূত। অবশ্যই যে কোনো দলকে আমরা হারাতে পারি, এই বিশ্বাস নিয়ে এখানে এসেছি। আমরা বাছাইয়ে কঠিন গ্রুপ পেরিয়ে এসেছি। সেখানে একটু স্নায়ু চাপও ছিল। এখন আমরা মূল পর্বে এসেছি। আমরা এখানে স্রেফ সংখ্যা বাড়াতে আসিনি। আমরা বিশ্বাস করি, নিজেদের দিনে আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চার দেখায় বাংলাদেশের জয়-পরাজয় দুটি করে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছে এই প্রথম। আসলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণেই এটা দুই দলের প্রথম ম্যাচ। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলটির শক্তি-সামর্থ্য দেখে ভড়কে যাওয়ার কিছু দেখছেন না গিবসন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই পেসারের দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশের সুযোগ আসবেই।
‘ইংল্যান্ডের খুব দৃঢ় একটি ব্যাটিং লাইন আছে। আমাদের নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে, যদি ওদের চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই বা জিততে চাই। আমরা গত রাতে টিম মিটিংয়ে এসব নিয়ে কথা বলেছি। মিটিংয়ে যা নিয়ে কথা হয়েছে এর কিছু নিয়ে আজকের অনুশীলনে কাজ করার সুযোগ পাব। আমরা যাই করব, সেটা নিখুঁত হতে হবে এবং নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে হবে।’
‘জানি, ওরা আমাদের ভীষণভাবে চেপে ধরার চেষ্টা করবে এবং একই সঙ্গে আমাদের সুযোগও দেবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৫ রান তাড়া করতেই ওদের চার উইকেট গিয়েছিল। তো এই জিনিসগুলোকে আমরা ইতিবাচক ভাবে নিতে পারি। আমাদের নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে ওরা আমাদের সুযোগ দিবে।’
ইংল্যান্ডের খেলার ধরন গিবসনের ভালো করে জানা। দলটির প্রবল শক্তিশালী হয়ে ওঠার শুরুর দিকে তিনি ছিলেন ইংলিশদের পেস বোলিং কোচ। এরপরও গভীরভাবে দেখে গেছেন ওয়েন মর্গ্যানের দলের এগিয়ে চলা। সেই জানাশোনা থেকে মাহমুদউল্লাহদের বলেছেন, সামনে ঠিক কী অপেক্ষা করছে।
‘ইংল্যান্ড ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলবে। আমি আমাদের বোলার ও ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। ওদের বোলাররা সবসময় উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করবে। ব্যাটসম্যানরাও সবসময় রান করে বোলারদের চাপে রাখতে চাইবে।’
‘ওদের বিপক্ষে অস্থির না হওয়ার বার্তা দিয়েছি ছেলেদের। একটা ভালো বল করেও হয়তো মার খাবে। কিন্তু তখন শান্ত থাকতে হবে। এভাবেই তারা খেলে, এটাই তাদের মানসিকতা। সেই সঙ্গে আমরা উইকেট নেওয়ার সুযোগও পাব। আমাদের শান্ত থাকতে হবে। দক্ষতা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযোগ দিতে হবে। বোলারদের শান্ত থাকতে হবে যতটা সম্ভব।’