কোরিয়া ট্রেড এসোসিয়েশন (কোটরা)’র ডাইরেক্টর জেনারেল ও কোরিয়া দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর স্যাম সু কিম (গৎ. ঝধস ঝড়ড় করস) চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে ৩০ মার্চ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময়ে মিলিত হন। এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মোঃ রুহুল আমিন, প্রাক্তন সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর হাজ্জাজ ও রিলায়েন্স এসেট্স্ এন্ড ডেভেলাপমেন্টস (বিডি) লিঃ’র পরিচালক ওমর মুক্তাদির বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম) উপস্থিত ছিলেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। বাংলাদেশে কোরিয়ার প্রায় ২০০ এর মত প্রতিষ্ঠান থাকলেও ভিয়েতনামের বিবেচনায় এই সংখ্যা খুবই নগন্য। বাংলাদেশ কোরিয়াতে ৪০০ মিলিয়ন রপ্তানি এবং ১ বিলিয়ন ডলারের অধিক আমদানি করে থাকে। ফলে দু’দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া কোরিয়া প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার প্রক্রিয়াজাত মাংস ও মাছ আমদানি করে। এর মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার চিংড়ি এবং প্রক্রিয়াজাত মাছ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে চিংড়ির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে কোরিয়ান প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি ও প্রক্রিয়াজাত মাছ রপ্তানির জন্য বিনিয়োগের আহবান জানান।
কোরিয়ান দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর স্যাম সু কিম বলেন, বাংলাদেশে রপ্তানি খাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত। তবে ৮০’র দশকে বাংলাদেশে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে প্রথম কারিগরি সহায়তা প্রদান করে কোরিয়ান কোম্পানী। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কোরিয়া ১৯৯০ সালে প্রচলিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে বের হয়ে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করে। বর্জ্য ভেদে ভিন্ন ভিন্ন বিন চালু করে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সফলতা অর্জন করে। এজন্য বাংলাদেশেও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে কোরিয়া। এছাড়া শিল্প কারখানায় রুফটপ সোলার এনার্জি নিয়েও কাজ করছে কোরিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে ভূয়সী প্রশংসা করে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোরিয়ান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, বাংলাদেশে জিডিপিতে প্রায় ১২% ভূমিকা রাখছে চট্টগ্রাম। এখানে রয়েছে দেশের প্রধান প্রধান ভারী শিল্প কারখানা। এছাড়া চট্টগ্রামে রয়েছে কোরিয়ান বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল। বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কোরিয়ান কোম্পানীগুলো। বাংলাদেশে কারিগরি সহায়তাসহ শিপ ব্রেকিং, শিপ বিল্ডিং, ইলেক্ট্রনিক্স এবং ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি। এছাড়া দেশে বিনিয়োগ আকর্ষণের সুবিধা উল্লেখ করে বাংলাদেশে কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের চট্টগ্রাম সফর ও চিটাগাং চেম্বারে আমন্ত্রণ জানান। বিজ্ঞপ্তি
‘বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করছে কোরিয়া’
চিটাগাং চেম্বার পরিচালকবৃন্দের সাথে কোটরা মহাপরিচালক ও কোরিয়ান দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলরের মতবিনিময়