শারদীয় দুর্গোৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী’র সাথে তার কার্যালয়ে শারদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে এ অভিমত প্রকাশ করেন সুজন। ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী সুজনকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানান।
আনুষ্ঠানিক মতবিনিময়কালে সুজন বলেন, করোনাকালীন গত বছর পূজার আনুষ্ঠানিকতায় কিছুটা আড়ম্বর থাকলেও এই বছর মহাসাড়ম্বরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে যা প্রতিটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য খুশির খবর। করোনাকালীন এ উৎসবের আয়োজনে কোথাও কোন ঘাটতি নেই যা সকলের নজর কেড়েছে। বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশই অভিন্ন এবং অবিচ্ছেদ্য রাজনৈতিক আদর্শ লালন পালন করে থাকে। উভয় দেশই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে তাদের হৃদয়ে ধারণ করে। আর সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনার ফল হলো মহান মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের দুই দেশের ধর্ম কিংবা সংস্কৃতিতে তাই কোন ভেদাভেদ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র অসাম্প্রদায়িক চেতনার কারণেই দুর্গাপূজার উৎসবটি সনাতনী সমাজের প্রাণের উৎসবে রূপ লাভ করেছে।
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের এ সৌন্দর্য আমাদের যে কোন মূল্যে ধরে রাখতে হবে।
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেভাবে ধর্মীয় উৎসবে প্রাণের মিলন ঘটে বাংলাদেশেও ঠিক একইভাবে প্রাণের মিলন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন সুজন। যেহেতু এখনো দেশ পুরোপুরি করোনাভাইরাস মুক্ত হয়নি সেহেতু সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি এবং অবশ্যই ঘরের বাহিরে বের হলে মাস্ক পরার অনুরোধ জানান তিনি।
ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ধর্মীয় সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছরই দেবী দুর্গার পূজা পালন করে আসছে। তবে এই উৎসব এখন শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে এ উৎসব শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। হয়ে উঠেছে সার্বজনীন উৎসবে। আর এই জন্যই বলা হয়ে থাকে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
তিনি আইনশৃংখলাসহ প্রশাসনের সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি অদ্যুৎ জা। বিজ্ঞপ্তি