সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন লিটন দাস। দলনেতা হিসেবে তাই আনন্দটাও অন্যদের চেয়ে বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। রেকর্ড গড়া জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তেমনটাই জানালেন লিটন, বলছেন অধিনায়কত্ব উপভোগ করার কথা। এর সঙ্গে উইকেটের পেছনে নিজের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে সুবিধার পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন। ঐতিহাসিক এই জয়ে দলীয় পারফরম্যান্স থাকলেও, ব্যাটারদেরই বড় কৃতিত্ব দিলেন টাইগার অধিনায়ক। খবর ঢাকা পোষ্টের
লিটন বলছিলেন, ‘অধিনায়কত্ব খুব উপভোগ করেছি। বোলাররা যেভাবে আমাকে সহায়তা করেছে। বিহাইন্ড দ্য বল দেখছি যে বোলাররা বল ক্যারি করাচ্ছে। ফলে কিপিং করতেও মজা লেগেছে। যখন অধিনায়ক থাকি তখন ভালো লাগে যে এখানে উইকেট পাওয়ার সুযোগ থাকে।’
টিম ওয়ার্কের কথা জানিয়ে লিটন আরও বলেন, ‘যখন প্রথম ইনিংসে শান্ত ও জয়ের ভিত্তিতে আমরা ভালো স্কোর করলাম, তখন থেকে আমরা বিশ্বাস ছিল যে প্রথম ইনিংসের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তাদের আমরা দেড়শ’র আগে অলআউট করেছি। কাজেই কোন পথে যেতে পারি ব্যবধানটা তখনই বোঝা গেছে। তবে উইকেট কঠিন ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও আমাদের ব্যাটাররা যেভাবে নিজেদের তুলে ধরেছে, এটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের ব্যাটার, বোলার ও পুরো দলের।’
দলের তিন পেসার নিয়ে অধিনায়ক লিটন বলেন, ‘মিরপুরে আমরা কখনও তিন পেসার নিয়ে খেলিনি। যেহেতু উইকেটের আচরণটাই এমন ছিল যে, তিন পেসার নিয়ে খেলার মতো। পেসারদের জন্য যথেষ্ট রসদ ছিল উইকেটে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আমি অধিনায়ক হিসেবে খুব খুশি।’
লিটন অবশ্য বড় কৃতিত্ব দিতে চান ব্যাটারদের, ‘এটা এমন একটা ব্যবধান, যখন চাইলেই হবে না। আর এর জন্য কৃতিত্ব ব্যাটারদের, কারণ উইকেট অতটা সহজ ছিল না। প্রতিটা ব্যাটারকেই কৃতিত্ব দিতে হবে।
তবে আমাদের বোলাররাও খুবই ভালো বল করেছে। লাইন-লেন্থ মেনে বল করেছে। এটা টেস্ট ক্রিকেট, তাই অর্জনটা বড়। এরকম ম্যাচ জিততে পারলে এরচেয়ে বড় কিছু চাওয়ার থাকতে পারে না। অধিনায়ক হিসেবে এরচেয়ে বড় ব্যবধান চাইতে পারেন না কখনও।’