জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকা-ের অন্যতম প্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট রাতে নিহত শহীদদের স্মরণে এ সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যার জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না এবং আজও আমরা পাকিস্তানের দাসত্বের নিগড়ে আবদ্ধ থাকতাম।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে দ্রুত পুনর্গঠিত করে বঙ্গবন্ধু যখন দেশের সার্বিক উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সে সময় পরাজিত দেশি-বিদেশি চক্র তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল সেই দুই শক্তি একীভূত হয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। সেই হত্যাকা-ের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমানকেই সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিল খোন্দকার মোস্তাক আহমদ। এতে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের অন্যতম প্রধান কুশীলব। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা- শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকা- নয়, সেদিন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগস্ট মাস আসলেই নানামুখী ষড়যন্ত্রে সরব হয় বিএনপি এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই আগস্ট মাসেই তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এবং বেগম জিয়ার জ্ঞাতসারে প্রকাশ্য দিবালোকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে পাঁচশ’ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছে। আগস্ট মাস আসলে বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এরদুল হক নিজামী ভুট্টু। প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সর্বকালের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মর্যাদাবান জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিতে তিনি সকলের প্রতি আহ্ববান জানান।
সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন রিয়াজের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান। বক্তব্য দেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম চিশতী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট বাসন্তী পালিত. অ্যাডভোকেট শামীম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, নুরে আলম সিদ্দিকী, এ এস এম সেলিম, মহসিন খান, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন, বাবর উদ্দীন সাগর, প্রমুখ।