নিজস্ব প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি »
খুন, উত্তেজনা ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার ফটিকছড়ির ১৪টি ইউপি নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
উপজেলার লেলাংয়ে ইউপি নির্বাচনে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মোহাম্মদ শফি নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। দুপুর ২ টার দিকে ওয়ার্ডের লালপুল গোপালঘাটা এম আর সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ফুটবল প্রতীকের মুরাদ ও মোরগ প্রতীকের জামাল পাশার সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয় ৩জন। এছাড়াও নারায়ণহাট, সুন্দরপুর, দাঁতমারা, বাগানবাজারের হলুদিয়া, লালমাই কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ফটিকছড়ির ১২ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৭ জন প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫ জন জয়ী হয়েছেন। অন্য দুটি ইউনিয়ন লেলাং ও বখতপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর রিট-আপিল জটিলতায় চেয়ারম্যান পদে ৬ সপ্তাহ হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার বাগান বাজার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদত হোসেন সাজু, দাতঁমারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জানে আলম, নারায়ণহাট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মাহামুদ, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী, পাইন্দং ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম ছরওয়ার হোসেন স্বপন, কাঞ্চন নগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী মোহাম্মদ দিদারুল আলম,সুন্দরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, রোসাংগীরি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সোয়েব আল সালেহীন, সমিতিরহাট ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হারুন অর রশিদ ইমন, ধর্মপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী মাহমুদুল হক, জাফতনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়া উদ্দিন জিয়া বেসরকারি ফলাফল নির্বাচিত হয়েছেন। আব্দুল্লাহপুরে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওহিদুল আলম।