নিজস্ব প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি :
আর কদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই ফটিকছড়ি উপজেলার হাট বাজারে পশুর হাট এখন জমজমাট । প্রচুর গরু বাজারে। স্থানীয় গরুতে চাহিদা বেশি ক্রেতাদের। তবে এসব বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইজারাকৃত বাজার ছাড়া রাস্তা, খোলা মাঠে গরু ছাগল বিক্রি করতে দিচ্ছেনা প্রশাসন।
তবে দাম নিয়ে ক্রেতা -বিক্রেতারা মনে করছেন শেষ মুহূর্তে বাজার স্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
গতকাল শনিবার হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রচুর গরু উঠেছে। তবে ক্রেতাও কম নয়। কিস্তু বিকিকিনি হচ্ছে কম। ক্রেতারা মনে করছে সামনে আরো কয়েকদিন সময় আছে। ধীরে সুস্থে দেখে শুনে কিনবেন।
শেষ সময়ে বাজারে ক্রেতার পরিমান বাড়বে এমনটাই ধারণা বিক্রেতাদের। অপরদিকে ক্রেতারা মনে করছেন যেহেতু করোনার এই সময় বাজারে এবার রেকর্ড পরিমান গরু ছাগল বেশি, সেই হিসেবে শেষের দিকে বাজার মূল্য কমে যাবে।
ফটিকছড়ির স্থায়ী গরুর বাজারের মধ্যে অন্যতম বিবিরহাট বাজার, হেঁয়াকো বাজার, বাগান বাজার, নাজিরহাট বাজার, কাজিরহাট বাজার, আজাদী বাজার, নানুপুর বাজার, নারায়ণহাট, তকিরহাট, আব্দুল¬াহপুর জামতল।
এছাড়া অস্থায়ী বাজারগুলো হচ্ছে, ফকিরহাট বাজার, চাড়ালিয়া হাট, শান্তিরহাট বাজার, ছিকনছড়া বাজার, বালুটিলা, পেলাগাজীর দিঘী, দক্ষিন ধর্মপুর মোশারফ আলী সওদাগরের ঘাটা, শ্যামলা হাট, রমজু মুন্সির হাট, ধর্মপুরের আমতল, বোর্ডস্কুল, ডাইনজুরী, দলিল মুন্সির হাট, চৌমহনী বাজার, শান্তিরহাট, বর্মাছড়ি বাজার, কাঞ্চনপুর বাজার ।
বেপারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফটিকছড়িতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু এসেছে। ছোট-বড় গরুর পাশাপশি বাজারে এসেছে প্রচুর ছাগল। ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকায় এসব ছাগল বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন বেপারিরা।
নাজিরহাট বাজারের এক ক্রেতা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এবার আগের মত টাকা পয়সা নেই। দেখে শুনে ক্রয় করবো।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাজারে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও বিক্রেতারা বেশি দাম ধরে থাকায় তেমন বেশি গরু বিক্রি হয়নি। হেঁয়াকো বাজারের সাধারন সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বলেন, এখনো লোকজন বাজারে আসছে ঠিক তবে বিকিকিনি হচ্ছে কম।
ভুজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবদুল্লাহ বলেন, ফটিকছড়ির প্রত্যেকটি বাজার সপ্তাহে দুদিন হাট বসে। বাজারের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বাজারে পুলিশ থাকবে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ সর্তক রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন বলেন, প্রত্যেক ইজারাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ক্রেতারা বিক্রেতারা যাতে মাস্ক ছাড়া বাজারে প্রবেশ করতে না পারে। ফটিকছড়ি উপজেলার প্রত্যেকটি বাজারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং টিম থাকবে। কোন ধরনের জাল টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রেও ব্যাংক কতৃপক্ষকে মেশিন বসানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাজার ছাড়া কোন রাস্তা ঘাটে যেন গরুর হাট বসতে না পারে সে ব্যাপারেও কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।