সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে স্রেফ মাটিতে আছড়ে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাটিং করে ৩৯৯ রানের পাহাড় গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে বোলিংয়েও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে প্রোটিয়ারা। ইংল্যান্ডকে মাত্র ১৭০ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যাতে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেয়েছে ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে।
বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামা ইংল্যান্ড গতকাল শনিবার তৃতীয় হারের স্বাক্ষী হলো। সে হিসেবে সেমিফাইনালের রাস্তাটা কঠিনই হয়ে পড়ল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জন্য। এবারের বিশ্বকাপেও ফেভারিট মনে করা হচ্ছিল ইংল্যান্ডকে। কিন্তু ইংলিশদের বিশ্বকাপ যাত্রার শুরুটা যে এমন হবে কে ভেবেছিল তা!
দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেল চার ম্যাচের তিনটিতেই। কদিন আগে পুঁচকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরেছিল প্রোটিয়ারা। এছাড়া বাকি তিন ম্যাচেই বড় জয় তুলে নিয়েছে দলটি।
কনিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ম্যাচ জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। কিন্তু রেকর্ড গড়া কী, ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের শুরুতেও বুঝিয়ে দিয়েছে গতকাল দিনটা তাদের শুধুই লজ্জা পাওয়ার। তৃতীয় ওভারে দলের রান যখন ১৮ তখন জনি বেয়ারস্টো ফিরলেন ১০ রান করে। আশ্চর্য ব্যাপার, বেয়ারস্টোর পর ইংল্যান্ডের দুই, তিন, চার নম্বর ব্যাটারের কেউই স্কোর দুই অঙ্কে নিতে পারেননি। খবর সারাবাংলা’র।
৩৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সব রাস্তা সেখানেই বন্ধ করেছে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়ে ১০০ রানের মাথায় অষ্টম উইকেট হারায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তারপরও ইংল্যান্ড ১৭০ পর্যন্ত গেছে মূলত মার্ক উড ও গাস আটকিনসনের ব্যাটে।
মাত্র ১৭ বল খেলে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মার্ক উড। চার মেরেছেন ২টি, ছক্কা ৫টি। আর আটকিনসন ২১ বলে ৩১ রানে আউট হয়েছেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেছেন জস বাটলার।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে জেরাল্ড কোয়েটজি ৩৫ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মার্কো জেনসেন ও লুঙ্গি এনগিদি।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৯৯ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৪ রানে ২ বলে ৪ রান করে আউট হন কুইন্টন ডি কক। এরপর ক্রিজে আসেন রসি ভ্যান ডার ডুসেন। তাকে নিয়ে ১২১ রানের জুটি গড়েন রেজা হেনড্রিকস। দলীয় ১২৫ রানে ৬১ বলে ৬০ রান করে আউট হন ভ্যান ডুসেন। এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তাকে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন রেজা হেনরিখস। দলীয় ১৬৪ রানে ৭৫ বলে ৮৫ রানে আউট হন হেনড্রিকস।
রেজা ফিরলে ব্যাট হাতে আসেন হেনরিখ ক্লাসেন। তাকে নিয়ে আক্রামণাতœক ব্যাটিং করতে থাকে অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। দুইজনে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। দলীয় ২৩৩ রানে ৪৪ বলে ৪২ রান করে আউট হন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তার বিদায়ের পর দ্রুত ফেরেন ডেভিড মিলারও। মাত্র ৬ বলে ৫ রান করেন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে মার্কো জ্যানসেনকে সঙ্গী করে ঝড় তোলেন ক্লাসেন। ৬২ বলে নিজের শতক পূরণ করেন হেনরিখ ক্লাসেন। দলীয় ৩৯৪ রানে ৬৭ বলে ১০৯ রান করেন হেনরিখ ক্লাসেন।
এরপর দলীয় ৩৯৮ রানে আউট হন গেরাল্ড কোয়েতজে। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের পক্ষে রেস টপলি নেন ৩টি উইকেট।